এই প্রক্রিয়ায়, মূত্রের প্রবাহ থেকে ইলেকট্রোঅ্যাকটিভ জীবাণু দিয়ে কয়েকটি সেল পূর্ণ করা হবে। এর মাধ্যমে রোগসৃষ্টিকারী জীবাণুগুলো আক্রমণ ও ধ্বংস করা হবে, বলা হয়েছে আইএএনএস-এর প্রতিবেদনে।
গবেষকরা বিশ্বাস করেন, একদিন এই মাইক্রোবায়াল ফিউয়েল সেল (এমএফসি) প্রযুক্তি পয়নিষ্কাশন ব্যবস্থার অভাব আছে এমন উন্নয়নশীল দেশে বা সুয়ারেজ নেটওয়ার্কে যাওয়ার আগেই বর্জ্য পরিষ্কার করতে বাসায় ব্যবহৃত হতে পারে।
যুক্তরাজ্যের ব্রিস্টলের ইউনিভার্সিটি অফ ওয়েস্ট অফ ইংল্যান্ড-এর অধ্যাপক ও এই গবেষণার প্রধান ইয়ানিস ইরোপৌলোস বলেন, উন্নয়নশীল বিশ্বের জন্য রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণু ঠেকাতে পারবে এমন প্রযুক্তি বানানো দরকার ছিল। তিনি বলেন, “আমরা ফলাফল নিয়ে আসলেই আনন্দিত– এটি দেখিয়েছে যে আমাদের একটি ‘স্টেবল বায়োলজিক্যাল সিস্টেম’ আছে যা দিয়ে আমরা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করতে পারব, বিদ্যুৎ উৎপন্ন করতে পারব আর সুয়ারেজ নেটওয়ার্ক দিয়ে ক্ষতিকর জীবাণুগুলো যাওয়া বন্ধ করতে পারব।”
এই ব্যবস্থায়, মূত্রের মধ্যে থাকা জৈব উপাদানগুলোকে জ্বালানী কোষগুলোর ভেতরে থাকা জীবাণুগুলো নিয়ে নেয়, তারপর এগুলো ভেঙ্গে শক্তি উৎপন্ন করে।
প্লস ওয়ান জার্নালে এই গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয়। এতে দেখা যায়, রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণুর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমে যায়।
গবেষকরা বলেন, বিভিন্ন ভাইরাসসহ অন্যান্য রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণুগুলো নিয়ে এখন পরীক্ষা চালানো হচ্ছে আর এগুলো নিয়ে পরীক্ষা চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে যাতে এমএফসি সিস্টেম এই জীবাণুগুলো পুরোপুরি দূর করা যায়।