॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ রাঙ্গামাটি লংগদুর সদর ইউনিয়নের গোলাছড়ি এলাকায় পাহাড়ী সন্ত্রাসীদের একটি আস্তানায় সেনাবাহিনীর অভিযান চালিয়ে অস্ত্র গোলাবারুদ, ইউপিডিএফ এর বই সহ বিপুল সরঞ্জাম ও গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র উদ্ধার করেছে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত গোলাছড়ি এলাকায় এ সেনা অভিযান পরিচালিত হয়। লংগদু সেনা জোন অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল আব্দুল আলিম চৌধুরীর নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর এ অভিযানে সন্ত্রাসী আস্তানা থেকে ২ টি একে ৪৭ রাইফেল, ১টি চাইনিজ রাইফেল, ১ টি যুগোশ্লোভিয়ান রাইফেল, ১৫২ টি রাউন্ড গুলি, ৪ টি ম্যাগজিন, ৭ টি ইউনির্ফম, পোচ ৪ টি, ক্লীপ চার্জার (এ্যামুনেশন লোডার) ৮টি, মোবাইল সেট ৫ টি, চাঁদার রশিদ, ইউপিডিএফের বিভন্ন নথিপত্র, রাষ্ট্রবিরোধী সাংগঠনিক পুস্তক সহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। লংগদু জোন অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল আব্দুল আলিম চৌধুরী জানান, ইউপিডিএফ এর একটি সশস্ত্র গ্রুপ সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালানোর জন্য গোলাছড়ির একটি আস্থানায় অবস্থান করছে গোপন সংবাদে এমন তথ্যের ভিত্তিতে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
তিনি জানান, সন্ত্রাসীদের আস্তানায় সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা গভীর জঙ্গলে পালিয়ে যায়। তিনি বলেন, সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যাওয়ার সময় পাশ্ববর্তী জলাশয়ে তাদের অস্ত্র ও গোলাবারুদ ফেলে যায়। স্থাীয় ডুবুরিদের সহায়তায় জলাশয় থেকে অস্ত্র উদ্ধার করে এবং সেনা বাহিনী ঐ আস্তানায় তল্লাশী চালিয়ে এ সব অস্ত্র ও গুলি উদ্দার করে।
এদিকে রাঙ্গামাটির জেলার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যৌথবাহিনী লংগদু উপজেলার গোলাছড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্র ও গুলি সহ বিপুল পরিমান সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। এই সময় যৌথ বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
এই বিষয়ে ইউপিডিএফ এর প্রেস সেকশনের মাইকেল চাকমার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, লংগদুতে সেনা বাহিনী যে সকল অস্ত্র উদ্ধার করে আমাদের উপর দায় চাপিয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীণ। আমরা গণতান্ত্রিক আন্দোলণ করি। আমরা অস্ত্রবাজে বিশ্বাসী নই।
তিনি বলেন, সম্প্রতি লংগদুতে ঘটে যাওয়া ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য সেনাবাহিনী একটা সাজানো নাটক করেছে। এই অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনাটি একটি পরিকল্পিত ঘটনা এবং ইউপিডিএফ এর উপর দায় চাপাচ্ছে।