॥ খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি ॥ প্রবল বর্ষন অব্যাহত থাকায় খাগড়াছড়িতে ফের পাহাড় ধবসের আশংকায় ঝুকিপূর্ণ স্থানে বসবাসকারীদের নিরাপদে সরিয়ে নিচ্ছে প্রশাসন। পাহাড় ধবসের প্রাণহানির আশংকায় সকাল থেকে প্রশাসন ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাসকারীদের আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে শহরে মাইকিং করছে। ভাড়ী বর্ষনের কারণে বিশেষ করে খাগড়াছড়ি জেলা শহরের কলাবাগান,নেন্সিবাজার,শালবন,হরিনাথ পাড়া গ্যাপ,আঠার পরিবার,সবুজবাগ ও কলেজ গেইট এলাকায় আবারও পাহাড় ধবসের আশংকায় সম্ভাব্য প্রাণ হানির আশংকায় প্রবল হয়ে উঠেছে। তবে এখন পর্যন্ত কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
এদিকে ভারী বর্ষন অব্যাহত থাকায় জেলায় চেংগী, মাইনী ও ফেনী নদরি পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে । অতি বর্ষনের কারনে জেলা শহরের পৌর এলাকা নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে ।
এদিকে জেলা প্রশাসনের কাছে ঝুকিপূর্ন বসতির কোন হিসেব না থাকলেও জেলা প্রশাসক মোঃ রাশেদুল ইসলাম জানিয়েছেন, খাগড়াছড়িতে এ ধরনের ঝুঁকিপূর্ন বসবাসের সংখ্যা খুবই কম। তবুও প্রশাসন সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে বসবাসকারীদের নিরাপদে রাখার ব্যাপারে সতর্ক রয়েছেন। অপরদিকে খাগড়াছড়িতে তিনদিনের টানা ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে, শত শত বসত বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়েছে। ধারাবাহিক বর্ষণ অব্যাহত থাকায় চ্ঙ্গেী নদীর তীরবর্তিসহ নিম্মাঞ্চলে বসবাসকারীর পরিবারগুলোর মাঝে পানি ওঠার আতংক বিরাজ করছে। টানা বর্ষণে জেলা সদরের মিলনপুর, আনন্দনগর ,মুসলিমপাড়া, বাঙ্গালকাঠি এলাকার নিন্মাংশ, নদী তীরবর্তী গঞ্জপাড়া ও শান্তিনগর এলাকায় বসবাসরত বেশীরভাগ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে।
অব্যাহত বর্ষনের কারনে পাহাড়ী ঢলে জেলার চেংগী ও মাইনী নদীর পানি বাড়তে থাকে।ফলে জেলা সদরের মুসলিমপাড়া, বাঙ্গালকাঠি এলাকার নিন্মাংশ, নদী তীরবর্তী গঞ্জপাড়া ও শান্তিনগর এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়ে ।এদিকে দুপুরের পর থেকে পানিবন্দি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয় নিতে শুরু করেছে।
খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলম জানান, পানিবন্দী পরিবারগুলোর জন্য জেলা শহরের মুসলিম পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মিউনিসিপ্যাল প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে খুলে দেয়া হয়েছে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্তদের খোঁজখবর নেয়ার জন্য স্ব স্ব এলাকার কাউন্সিলরদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এছাড়া লক্ষ্মীছড়ি ও গুইমারা, দীঘিনালার উপজেলার ছোটমেরুং এলাকা নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়ে শতাধিক পরিবার পানি বন্দী হয়ে পড়েছে। চেঙ্গীনদীর তীরে বসবাসকারীদের মাঝে ঘরে পানি ওঠার আতংক বিরাহ করছে।