সম্প্রতি প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলে সৃষ্ট বন্যায় দেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র সাজেকে আটকে পড়া সাড়ে চার শতাধিক পর্যটককে নিরাপদে সরিয়ে এনেছে খাগড়াছড়ি রিজিয়নের নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা। গত রবিবার দুপুরে বাঘাইহাট বাজার এলাকায় নৌকায় করে পর্যটকদের সরিয়ে এনে খাগড়াছড়ির উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়েছে। তিন দিনের টানা বর্ষণে রাঙ্গামাটি বাঘাইছড়ি উপজেলার বাঘাইহাট বাজার ডুবে যাওয়ায় সাজেকে আটকা পড়ে ৪ শতাধিক পর্যটক।
খাগড়াছড়ি সেনা রিজিয়নের স্টাফ অফিসার মেজর মোহাম্মদ মুজাহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, সড়কের উপর পাহাড় ধসে ও সড়ক ডুবে যাওয়ায় খাগড়াছড়ির সাথে সাজেক, বাঘাইছড়ি ও লংগদু সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ অবস্থায় সাজেকে সাড়ে চার শতাধিক পর্যটক আটকা পড়ে। খাগড়াছড়ি সেনাবাহিনী সদস্যরা তাদের নৌকায় পার করার ব্যবস্থা করেছেন।
এদিকে খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হলেও মাইনী নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় এখনো দীঘিনালার মেরং বাজার, সোহবানপুর, ছোট মেরুং, বাদলা ছড়ি, বড় মেরুং ও বাচা মেরংসহ অন্তত ১০টি গ্রামের সহ¯্রাধিক পরিবার দুই দিন ধরে পানিবন্দি অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে। শতাধিক পরিবার আশ্রয় নিয়েছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। বন্যার কারণে একটি উচ্চ বিদ্যালয়সহ ৫টি বিদ্যালয়ে ক্লাস বন্ধ রয়েছে।
এদিকে বন্যায় দীঘিনালা ছোট মেরুং বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ এলাকায় আশ্রিত বন্যা দুর্গত ১২০ পরিবারের মাঝে ৫ কেজি চাল, ১ লিটার সয়াবিন তেল, ১ কেজি ডাল, ১ কেজি চিনি, ৫০০ গ্রাম চিড়া, ১ প্যাকেট মোমবাতি ও ১ প্যাকেট ম্যাচ ত্রাণ বিতরণ করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন দীঘিনালা উপজেলা চেয়ারম্যান নব কমল চাকমা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো শেখ শহিদুল ইসলাম, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কেএম ইসমাইল হোসেন ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রহমান কবীর রতন।
খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো রাশেদুল ইসলাম জানান, দীঘিনালার মেরং-এ বন্যা দুর্গতদের জন্য চাল, ডাল ও তৈলসহ শুকনো খাবারসহ ত্রান দেওয়া হচ্ছে। প্রয়োজন হলে আরো ত্রান বরাদ্দ দেওয়া হবে।