নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের পরিদর্শনে ক্য শৈ হ্লা

॥ রাহুল বড়–য়া ছোটন, বান্দরবান ॥ সাম্প্রতিক সময়ে মিয়ানমারের সংহিসতার ঘটনায় বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী নাইক্ষ্যংছড়ির জিরো পয়েন্টে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের পরিদর্শনে গেছেন বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা।
বুধবার সকালে প্রথমে নাইক্ষংছড়ি উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা হলরুমে এক মতবিনিময় সভায় যোগ দেন পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা। এসময় তার সাথে পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য মোজাম্মেল হক বাহাদুর, নাইক্ষ্যংছড়ি সদরের চেয়ারম্যান তসলিম ইকবাল চৌধুরী,বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির বান্দরবান ইউনিটের সেক্রেটারী একেএম জাহাঙ্গীরসহ সরকারী ও বেসরকারী কর্মর্কর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা জানান, নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে রোহিঙ্গাদের উখিয়ায় সরিয়ে নেওয়া হবে। বান্দরবানের সীমান্তবর্তী নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার মিয়ানমার সীমান্তে ৭টি পয়েন্টে অবস্থানরত পঞ্চাশ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গাকে পর্যায়ক্রমে কক্সবাজারের উখিয়ায় সরিয়ে নেওয়া হবে। সেখানে তাদের কুতুপালং শরণার্থী শিবিরের পাশাপাশি নতুন করে ৫০ একর জায়গা দেওয়া হয়েছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের কাজ শুরু হবে বলে। তিনি আরো জানান, রোহিঙ্গা নির্যাতনের কারণে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয় নিয়েছে। আপতত তারা ওপারেও ফিরে যেতে পারছে না তাই মানবিক কারণে তাদের জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে নানা সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। বিশুদ্ধ পানি ও স্বাস্থ্য সেবার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
পরে মতবিনিময় সভা শেষে নাইক্ষ্যংছড়ি বড়চন খোলা সীমান্তে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের পরিদর্শনে যান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা। এসময় তিনি সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্টে আশ্রয় নেয় রোহিঙ্গাদের খোজ খবর নেন এবং তাদের সমবেদনা প্রকাশ করেন।
এদিকে রেডক্রিসেন্টসহ বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী সংস্থা সীমান্তে অবস্থানকারী রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা দিচ্ছে। রোহিঙ্গাদের প্রাথমিক চিকিৎসা সেবায় স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে একটি বিশেষ মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থার পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, মিয়ানমারে সেনা বাহিনী কর্তৃক রোহিঙ্গা নিধন অভিযান অব্যাহত থাকায় সীমান্তের জিরো পয়েন্টের তুমব্রু, ঘুমধুম, বাইশফাঁড়ি, রিজু-আমতলী, চাকঢালা, আশারতলী এলাকায় নতুন করে আরো ২০ হাজার রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে। জিরো পয়েন্টের অস্থায়ী ক্যাম্পগুলোতে খাদ্য সঙ্কট তীব্র আকার ধারণ করেছে। স্থানীয় ভাবে কিছু খাদ্য সরবরাহ করা হলেও তা একেবারে অপ্রতুল। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সীমান্ত এলাকায় বিজিবি’র নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।

মুক্ত গণমাধ্যম চাই : সকল গণমাধ্যমে এক নীতিমালা, তথাকথিত ওয়েজ বোর্ড বাতিল, নিজস্ব বেতন বোর্ড, বিজ্ঞাপন ও ক্রোড়পত্র নীতিমালা নিয়ন্ত্রণ মুক্ত, প্রয়োজনীয় কাঁচামালের মূল্য কমানো ও মফস্বলের পত্রিকাগুলো সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করে টিকিয়ে রাখতে হবে

Archive Calendar
Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30