মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে আরো অর্ধলক্ষাধিক রোহিঙ্গা প্রবেশ করেছেন বাংলাদেশে। তাদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই বেশি। সোমবার (১৬ অক্টোবর) ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত সীমান্তের নাফনদী পেরিয়ে তারা আশ্রয় নিয়েছেন বিভিন্ন শিবিরে।
জানা যায়, ভয়, আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ার কারণে বুচিদংয়ের বাপিডিপো, নাইছাদং, চিংদং, লাউয়াদং, নয়াপাড়া, চান্দেরবিল, লম্বাবিল, জংমং ও প্রংফোপাড়াসহ ১৪টি গ্রামের অর্ধলক্ষাধিক মানুষ ৬দিন পাহাড় জঙ্গল, খাল, ছড়া পেরিয়ে সোমবার ভোর নাফ নদীর এপারে চলে আসে। পরে তারা বাংলাদেশে প্রবেশ করেন।
বুচিদং নয়ংশপাড়া গ্রামের মাদ্রাসা শিক্ষক হাফেজ ফয়েজ উল্লাহ (৪৮) বলেন, সোমবার একদিনে অর্ধলক্ষাধিক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। তাদেরকে বর্মী ভাষায় বাঙগালী লেখা কার্ড নিতে জোর জবরদস্থি করা হচ্ছে। অন্যথায় মেরে ফেলার হুমকি প্রদর্শনের মতো হিংসাত্মক আচরণে বুচদিংয়ের ১৪টি গ্রামে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। যে কারণে রোহিঙ্গারা দলে দলে এপারে চলে আসতে বাধ্য হচ্ছে।
চান্দেরবিল আবদুল আমিন (৩৫) জানান, তারা সকলেই মিয়ানমারের ফাতিয়ারপাড়া ঢালা নামকস্থানে জড়ো হন বুধবার। সেখানে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার পর্যন্ত তারা অবস্থান করেন। তাদের অবস্থান লক্ষ্য করে মিয়ানমার সেনা ও সশস্ত্র রাখাইন যুবকরা শনিবার ভোর রাতে গুলি চালায়। তারপর তারা এদিক-ওদিক ছুটতে থাকেন। অবশেষে তারা সোমবার ভোরের দিকে নাফ নদী পার হয়ে এপারে চলে আসেন।
পালংখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ মনজুর ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আলী আহমদ, পালংখালী ইউপি চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী সোমবার ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত নতুন রোহিঙ্গা প্রবেশের সত্যতা স্বীকার করলেও তার সংখ্যা কত হবে জানাতে পরেনি। তবে প্রত্যক্ষদর্শী গ্রামবাসী বলেন, সোমবার একদিনে অর্ধলক্ষাধিক রোহিঙ্গা প্রবেশ করে বিভিন্ন ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে।