॥ জসিম উদ্দিন,কাউখালী ॥ পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান ও পার্বত্য সচিব নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা,এনডিসি বলেছেন, বর্তমান সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নে দীর্ঘ মেয়াদী বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহন করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করার লক্ষ্যে পার্বত্য চট্টগ্রামে এসব উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। তিনি বলেছেন, ৫৪ কোটি টাকার বাজেট নিয়ে যে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের কার্যক্রম পরিচালনা করা হতো সেখানে আজ হাজার কোটি টাকার উন্নয়নের বাজেটে কাজ করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক সহযোগীতার কারনে পার্বত্য চট্টগ্রামের যে সব জায়গায় বিদ্যুৎ পৌছাইনি সেখানে ৪৬ কোটি টাকা ব্যয়ে সোলার প্যানেল নির্মানের প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। তিনি বলেছেন পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নে এখানে পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটাতে এবং পর্যটন শিল্পের উন্নয়নের জন্য সকলকে কাজ করতে হবে। তিনি বলেছেন শুধুমাত্র পার্বত্য চট্টগ্রামে পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন ঘটাতে পারলে অর্থনৈতিক ভাবে এলাকার জনসাধারন যেভাবে লাভবান হবে তাতে পার্বত্য এলাকার চেহারা পাল্টে যাবে। এছাড়া তিনি বলেন পার্বত্য চট্টগ্রামের বসবাসরত সকল সম্প্রদায়ের অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রতিটি উপজেলায় বাশ বাগান সৃজন ও মিশ্র ফলবাগানের প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।
তিনি গতকাল মঙ্গলবার(১৭ অক্টোবর) কাউখালী উপজেলার বেতবুনিয় উপগ্রহ-ভূকেন্দ্রে নির্মানাধীন বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট পরিদর্শন, কাউখালী উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়াম উদ্বোধন ও কাউখালী-কচুখালী সড়ক নির্মান কাজের উদ্বোধন শেষে নবনির্মিত অডিটরিয়ামে এক সভায় উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন। কাউখালী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এস,এম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান(অতিরিক্ত সচিব) তরুন কান্তি ঘোষ, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান চিংকিউ রোয়াজা, কাউখালী উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন-সম্পাদক মোঃ বেলাল উদ্দিন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কমল বরন সাহা প্রমূখ।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের যুগ্ন সচিব নাছিরুল আলম, সুদত্ত চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মজিবুল আলম।
নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা,এনডিসি আরো বলেছেন,বর্তমান সরকারের আমলে যেভাবে পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত এলাকা সমূহে উন্নয়নের ছোয়া বইছে এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে হবে। তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামের যেসব এলাকায় এখনো উন্নয়ন কম হয়েছে সেখানে উন্নয়নের জন্য সকলকে সন্মিলিতভাবে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন।