পটিয়া উপজেলার ধলঘাটে নির্মিত ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের প্রথম নারী শহীদ ও মাস্টারদা সূর্য সেনের সহযোদ্ধা বীরকন্যা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের নামে ‘বীরকন্যা প্রীতিলতা সাংস্কৃতিক ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত প্রীতিলতা সাংস্কৃতিক ভবনের উদ্বোধন করেন সংস্কৃতিমন্ত্রী।
সংস্কৃতিমন্ত্রী বলেন, বীরকন্যা প্রীতিলতার আত্মহুতি দানের অসাধারণ কাহিনি আমাদের সবসময় উজ্জীবিত করে। অনুপ্রাণিত করে। আমরা লড়াই করে বাংলাদেশ পেয়েছি। লড়াকুরা প্রত্যেকে প্রেরণার উৎস। এ কমপ্লেক্স নির্মাণ একদিকে বীরকন্যার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন। অন্যদিকে তার বীরত্বপূর্ণ সংগ্রামের প্রতিচ্ছবি। প্রীতিলতা যেমন স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখেছিলেন ঠিক একই স্বপ্ন দেখেছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের পেছনে রয়েছে এদেশের গরিব-দুঃখী বাঙালির একটি স্বাধীন দেশ। জনগণ মাথা উঁচু করে নিজের পায়ে দাঁড়াবে। ঠিক তেমনি বীরকন্যা প্রীতলতা ওয়াদ্দেদারের চেতনাও অভিন্ন ছিল।
সংস্কৃতিমন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার না থাকলে বীরকন্যা প্রীতিলতার স্মৃতি সংরক্ষণ হতো না। আমরা সবাই বাঙালি। অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক ও বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে যারা এদেশের স্বাধীনতা চায়নি, তারাই সাম্প্রদায়িকতা লালন করে রাষ্ট্রকে ধ্বংস করতে চায়। তাদের এ চিন্তা চেতনা সফল করতে দেওয়া যাবে না। শিক্ষার পাশাপাশি সংস্কৃতিচর্চা আরও বাড়াতে হবে। রুখতে জঙ্গিবাদ।
বীরকন্যা প্রীতিলতা ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি পংকজ চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কবি ও সাংবাদিক আবুল মোমেন, প্রীতিলতা ট্রাস্টের প্রধান উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত, দৈনিক ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, চট্টগ্রামে নিযুক্ত ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার অনিন্দ্য ব্যানার্জী, পটিয়ার সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ, সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান, উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ চৌধুরী টিপু, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিল্টন রায়, প্রকৌশলী পুলক কান্তি বড়ুয়া, মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, দেবব্রত দাশ দেবু প্রমুখ।