রাঙ্গামাটিতে উৎসাহ ও উদ্দিপনার ও উৎসব মুখর পরিবেশের মধ্যদিয়ে কাপ্তাই হ্রদে হয়ে গেলো ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ প্রতিযোগীতা। বিপুল সংখ্যক দর্শকের উপস্থিতিতে নৌকা বাইচটি পুরানপাড়া এলাকা থেকে শুরু হয়ে শহরের পৌর ট্রাক টার্মিনাল ঘাট এলাকায় এসে শেষ হয়।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) বিকার ৩টায় শহরের পৌর ট্রাক টার্মিনাল ঘাট এলাকায় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে আয়োজিত নৌকা বাইচ প্রতিযোগীতার অনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান ও পার্বত্য সচিব নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা।
এ সময় রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান, রাঙ্গামাটি রিজিয়নের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. গোলাম ফারুক, পিএসসি, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান তরুন কান্তি ঘোষ, রাঙ্গামাটি সদর জোনের জোন কমান্ডার লে. কর্ণেল মো. রেদুওয়ান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাফিউল সারোয়ার উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিযোগিতায় রাঙ্গামাটি সদর ও আশপাশের উপজেলা থেকে বড় নৌকায় ২৫জন ও ছোট নৌকায় ১৭জন করে পুরুষদের ২টি ও ১৫ জন নারীর ১টি দল অংশ নেয়। এছাড়া ৭টি সাম্পানসহ পাহাড়ি-বাঙালী নারী পুরুষ অংশ নেয়।
এদিকে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা শুরু হওয়ার আগেই শত শত মানুষের পদাভারে কানায় কানায় ভরে উঠে রাঙ্গামাটি কাপ্তাই হ্রদের তীরবর্তী এলাকা। এছাড়া দূর-দূরান্তের হাজার হাজার মানুষ নৌকা বাইচ উপভোগ করতে ফিসারী ঘাট এলাকায় এসে ভিড় জমায়। একপর্যায়ে নদীর ৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে অর্ধলক্ষ মানুষ দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে প্রতিযোগিতা দেখতে থাকে। এছাড়াও নদীর ভেতরে ৫ শতাধিক নৌকা নিয়েও মানুষ নৌকা বাইচ উপভোগ করে।
পরে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার বিজয়ী ২৫ জনের নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা বিজয়ীদের মাঝে ১২ হাজার টাকা, ১৭ পুরুষ ও ১৫ মহিলা দলের নৌকা বাইচ প্রতিযোগিদের ১০ হাজার টাকা ও তৃতীয় নৌকা বাইচ প্রতিযোগিদের ৭ হাজার টাকা ও ১জন করে সাম্পান প্রতিযোগিতাকে ৫ হাজার টাকা করে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
প্রতিযোগিতায় পুরুষদের মধ্যে শিরমনি ত্রিপুরা, নারীদের প্রতিযোগিদের মধ্যে দীতি ত্রিপুরা ও সাম্পান প্রতিযোগিতায় জামাল মাঝি প্রথম স্থান লাভ করে।