চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন,চট্টগ্রাম মহানগরীতে লোকসংখ্যা দিন দিন বাড়ার কারনে দরিদ্র জনগোষ্ঠির উল্লেখযোগ্য একটি অংশ বস্তিতে বাস করে। তারা তাদের মৌলিক অধিকার থেকে অনেকটা বঞ্চিত। হতদরিদ্র এসকল বস্তিবাসির সন্তানদের লেখা পড়ার সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়ার জন্য ওয়ার্ল্ড ভিশন রিক্সা বিতরনের মাধ্যমে কর্ম সংস্থানের সুযোগ করে দেয়া একটি মহৎ কাজ। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার দারিদ্র বিমোচনের লক্ষ্যে নানামুখি উদ্যোগ গ্রহণ করে তন্মোধ্যে একটি বাড়ী একটি খামার প্রকল্প অন্যতম। এছাড়াও সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় বয়ষ্ক,প্রতিবন্ধী, বিধবা ভাতা, শিক্ষা উপ বৃত্তি, বিণামূল্যে বই বিতরণ, বিনা ফিতে অধ্যয়ন সহ নানা ধরনের প্রণোদনা দিয়ে যাচ্ছে সরকার। এর ফলে দারিদ্রের হার কমছে এবং দেশ ধীরে ধীরে উন্নয়নের পথে হাটছে। তিনি বস্তিবাসী কর্মক্ষম সকলকে পরিশ্রম করে অর্থ উপার্যনের পথ সৃষ্টি করে তাদের সন্তানদের শিক্ষার আলোতে আলোকিত করার আহবান জানান। মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন প্রসঙ্গক্রমে বলেন, বস্তিগুলো নানামুখি অসামাজিক কাজে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ফলে সেখানে মাদক এর বিস্তার এবং অপকর্ম সংগঠিত হচ্ছে। কোন মহল যাতে বস্তিবাসী যুবকদের পথভ্রষ্ট করতে না পারে সেদিকে অভিভাবকদের সুনজর দিতে হবে। সমাজের এ ভয়াবহ সমস্যা থেকে উত্তোরনের জন্য বেকারত্ব থেকে রেরিয়ে আসতে হবে। ১৮ অক্টোবর ২০১৭ খ্রি. বুধবার, বিকেলে কে বি আবদুচ ছত্তার মিলনায়তনে ৪ ও ১৮ নং ওয়ার্ডের হতদরিদ্রদের উন্নয়নে ওয়াল্ড ভিশন বাংলাদেশ এর অর্থায়নে ৩২ জন হতদরিদ্রদের মাঝে রিক্সা বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের এরিয়া প্রোগ্রাম ক্লাষ্টার ম্যানেজার প্রভারঞ্জন হিরা। এসময় বিশেষ অতিথি ছিলেন সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর মিসেস ফারজানা পারভিন,ইলমা’র প্রধান নির্বাহী জেসমিন সুলতানা পারু। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম আরবান এপি ম্যানেজার শ্যামল ফ্রান্সিস রোজারিও, হতদরিদ্রদের পক্ষে রইজুল ইসলাম ও আবু তাহের সহ অন্যরা। অনুষ্ঠান শেষে মেয়র হতদরিদ্রদের মাঝে রিক্সা বিতরণ করেন।