১। বর্তমানে আমাদের দেশের যুব সমাজের অধঃপতনের অন্যতম প্রধান কারণ মাদকাসক্তি। দেশের যুবসমাজের একটি বড় অংশ আশংকাজনকভাবে ফেন্সিডিল ও মাদক হিসেবে ব্যবহৃত ইয়াবা ট্যাবলেটের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ছে। মাদকের টাকা জোগাড়ের জন্য মাদকাসক্ত যুব সমাজ বিভিন্ন ধরনের অনৈতিক ও অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ছে। যুব সমাজকে মাদকের ভয়াল থাবা থেকে রক্ষার জন্য র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই দেশব্যাপী বিভিন্ন মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে আসছে যা দেশের সর্বস্তরের জনসাধারন কর্তৃক ইতোমধ্যেই বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গত ১লা জানুয়ারি ২০১৬ হতে অদ্য ০৬ অক্টোবর ২০১৭ পর্যন্ত ০১ কোটি ৩০ লক্ষ ১২ হাজার ৮৬৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট এর পাশাপাশি ৪৫ হাজার ১১৮ বোতল ফেন্সিডিল, ০৩ হাজার ১৪১ বোতল বিদেশী মদ ও বিয়ার, ০৬ লক্ষ ৪৯ হাজার ৮০২ লিটার দেশীয় তৈরী মদ, ৭০৬ কেজি ৫০০ গ্রাম গাঁজা, ০১ কেজি ২০০ গ্রাম হেরোইন এবং ০২ কেজি ৪০০ গ্রাম আফিম উদ্ধার করেছে।
২। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, চট্টগ্রাম মহানগরীর চকবাজার থানাধীন দেওয়ান বাজার ডি সি রোড, চৌধুরী বিল্ডিং এর বিপরীত গলি থেকে ১৫০ গজ সামনে ৬১০ জে এস বি কে স্কয়ার নামক ৬তলা বিশিষ্ট বিল্ডিং এর ভিতর কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী মাদক ক্রয়-বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে গত ০৫ অক্টোবর ২০১৭ ইং তারিখ ২১৪৫ ঘটিকার সময় লেঃ কমান্ডার আশেকুর রহমান, (এক্স), বিএন এর নেতৃত্বে র্যাবের একটি আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে ৮৪ কেজি গাঁজা, ২৪ বোতল ফেন্সিডিল এবং ০১ টি ইলেক্ট্রনিক ওজন পরিমাপক মেশিনসহ আসামী মোঃ হাবীব উল্লাহ জাহেদ (৩৮), পিতা- মৃত আব্দুল কাদের, ফ্ল্যাট নং- ৬/সি, জে এস বি কে স্কয়ার, ৬১০ ডি সি রোড, দেওয়ান বাজার, থানা- চকবাজার, সিএমপি চট্টগ্রাম’কে হাতেনাতে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে তাৎক্ষনিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সে দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন এলাকার মাদক চক্রের সাথে যোগসাজশে মাদক ক্রয় বিক্রয় করে আসছে। উদ্ধারকৃত গাঁজা এবং ফেন্সিডিলের আনুমানিক মূল্য ০৮ লক্ষ ৬৪ হাজার টাকা।
৩। গ্রেফতারকৃত আসামী এবং উদ্ধারকৃত মালামাল সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে ১৯৯০ সনের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইন ১৯(১) এর টেবিল ৩(খ)/৭(খ) ধারা মোতাবেক চট্টগ্রাম মহানগরীর চকবাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।