॥ মুহাম্মদ জুবাইর, টেকনাফ ॥ মিয়ানমারে রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর নির্যাতন ও হত্যার হাত থেতে রেহায় পেতে প্রাণে বাচঁতে তেলের জারিকেনের সহযোগিতায় সাঁতরিয়ে নাফ নদী পাড়ি দিচ্ছে রোহিঙ্গারা। এনিয়ে গত ক‘দিনে ৩৪জন রোহিঙ্গা যুবক সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে এসেছে বলে সুত্রে জানা যায়।
শুক্রবার (৩ নভেম্বর) বিকাল ৫টার দিকে টেকনাফে শাহপরীরদ্বীপ জেটি সংলগ্ন নাফ নদী থেকে উদ্ধার করা হয় ১৯ রোহিঙ্গাকে। সকলেই বুচিডংয়ের চিনডিপ্রাং গ্রামের বাসিন্দা বলে জানা গেছে। সাঁতারে আসা রোহিঙ্গারা জানান, বিকাল ৩টায় সাঁতার শুরু করে বিকাল ৫ টায় শাহপরীরদ্বীপ পৌঁছে। ক্ষুধার জ্বালা সহ্য করতে না পেরে এবং বাংলাদেশে পালিয়ে আসার জন্য কোন ট্রলার না পেয়ে এভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এপারে এসে নৌকার ব্যবস্থা করে আবার ফিরে গিয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে আসার উদ্দেশ্যেই চলে এসেছেন। এখনও ওপারে কয়েক হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে আসার অপেক্ষায় রয়েছে। এর আগেও ১৯ রোহিঙ্গা জারিকেন নিয়ে বাংলাদেশে আসে।
এদিকে একই রংয়ের জারিকেন কোথায় পাচ্ছে তারা। কোন এনজিও বা বিদ্রোহী সংগঠনের উস্কানি কিনা তা ও খতিয়ে দেখার জন সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নিকট অনুরুধ করেছে সচেতন মহল।
টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল এসএম আরিফুল ইসলাম সত্যতা নিশ্চিত করে জানান তাদের উদ্ধার করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও মানবিক সহায়তা দিয়ে ক্যাম্পে প্রেরণ করতে সেনা বাহিনীর কাছে সোপর্দ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সর্বপ্রথম ১১ অক্টোবর ১১ জন রোহিঙ্গা এভাবে নাফ নদী সাঁতরে শাহপরীরদ্বীপ আসে। এরপর ২৮ অক্টোবর আসে ৪ জন। এনিয়ে মোট ৩৪ জন রোহিঙ্গা সাঁতরে নাফ নদী পাড়ি দিয়ে টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপে এসেছে।
