এই গবেষণায় ৪,৫৫৭টি কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের ঘটনা পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। দেখা গেছে, এর মধ্যে মাত্র ৩৪টি ঘটেছে যৌন সম্পর্ক করার সময় কিম্বা এর এক ঘণ্টার মধ্যে। এবং এদের মধ্যে ৩২জনই পুরুষ
যৌন সম্পর্কের কারণে নারীর তুলনায় পুরুষের হঠাৎ কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের ঝুঁকি অনেক বেশি।
তবে যৌন সম্পর্কের কারণে হঠাৎ করেই হৃদযন্ত্র বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঘটনা খুব কমই ঘটে থাকে।
কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের ওপর পরিচালিত একটি গবেষণায় একথা বলা হয়েছে।
এই গবেষণায় ৪,৫৫৭টি কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের ঘটনা পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। দেখা গেছে, এর মধ্যে মাত্র ৩৪টি ঘটেছে যৌন সম্পর্ক করার সময় কিম্বা এর এক ঘণ্টার মধ্যে। এবং এদের মধ্যে ৩২জনই পুরুষ।
সিডার্স-সিনাই হার্ট ইন্সটিউটের সুমিত চঘ বলেছেন, যৌন সম্পর্কের সাথে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের সম্পর্কের ওপর এই প্রথম এরকম একটি গবেষণা পরিচালিত হলো।
অ্যামেরিকান হার্ট এসোসিয়েশনের এক সভায় গবেষণার এই প্রতিবেদনটি তুলে ধরা হয়েছে।
চিকিৎসকরা বলছেন, হৃদযন্ত্র যখন ঠিকমতো কাজ করতে পারে না এবং হঠাৎ করে সেখানে হৃদকম্পন বন্ধ হয়ে যায় তখনই কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের ঘটনা ঘটে।
তারা বলেন, কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের কারণে আক্রান্ত ব্যক্তি অচেতন হয়ে পড়তে পারে এবং তার নিশ্বাস গ্রহণও বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এর দ্রুত চিকিৎসা না হলে তার মৃত্যুরও আশঙ্কা রয়েছে।
চিকিৎসকরা বলছেন, হার্ট অ্যাটাক ও কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের মধ্যে কিছুটা পার্থক্য রয়েছে।
হৃদযন্ত্রে যখন রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যায় তখনই হার্ট অ্যাটাক হয়।
যৌন সম্পর্কের কারণে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে এটি আগে জানা থাকলেও কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের সাথে এর সম্পর্কের ব্যাপারে আগে কিছু জানা ছিলো না।
ক্যালিফোর্নিয়ায় ড. চঘ এবং তার সহকর্মীরা ২০০২ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত হাসপাতালে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের ফাইলগুলো পরীক্ষা করে দেখেছেন।
ছবির কপিরাইট Getty Images Image caption যৌন সম্পর্কের কারণে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে এটি আগে জানা থাকলেও কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের সাথে এর সম্পর্কের ব্যাপারে আগে কিছু জানা ছিলো না।
তারা বলছেন, যৌন সম্পর্কের কারণে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের ঝুঁকি ১ শতাংশেরও কম।
গবেষকরা বলছেন, আক্রান্ত ব্যক্তিদের বেশিরভাগই পুরুষ এবং মধ্যবয়সী।
ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশন হার্ট অ্যাটাকের পর যৌন সম্পর্ক শুরু করার ব্যাপারে রোগীদেরকে চার থেকে ছয় সপ্তাহ অপেক্ষা করার জন্যে পরামর্শ দিয়ে থাকে।
কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের ব্যাপারে কিছু তথ্য:
- হাসপাতালের বাইরে যাদের কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয় তাদের প্রায় ৯০ শতাংশেরই মৃত্যু হয়।
- জরুরী ভিত্তিতে সিপিআর চিকিৎসা দেওয়া না হলে আক্রান্ত ব্যক্তির বেঁচে থাকার সম্ভাবনা মাত্র ১০ শতাংশ।
- কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের প্রথম পাঁচ মিনিটের মধ্যে সিপিআর চিকিৎসা দেওয়া হলে রোগী বেঁচে থাকার সম্ভাবনা দ্বিগুণ কখনো কখনো তিনগুণও বেড়ে যায়।