শত চেষ্টা করলেও ইতিহাস বদলানো যায় না: শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পঁচাত্তরের ট্রাজেডির পর বাংলাদেশ থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলার শত চেষ্টা হলেও ইতিহাসে যার নাম অক্ষয়, তা মুছে ফেলা যায়নি

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের বৈশ্বিক স্বীকৃতি উদযাপনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শনিবার নাগরিক সমাবেশে একথা বলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।

যে স্থানটিতে দাঁড়িয়ে বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামের দিশা দিয়েছিলেন জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান, তার সেই ভাষণের বৈশ্বিক স্বীকৃতি উদযাপনের সমাবেশ ঘিরে সেই উদ্যান মুখর ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে।

বিভিন্ন দেশের আরও ৭৭টি ঐতিহাসিক নথি ও প্রামাণ্য দলিলের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের সেই ভাষণকেও গত মাসের শেষে ‘ডকুমেন্টারি হেরিটেজ’ হিসেবে ‘মেমোরি অফ দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টারে’ যুক্ত করে নেয় ইউনেস্কো।

ওই স্বীকৃতি উদযাপনে নাগরিক কমিটির ব্যানারে এই সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন শেখ হাসিনা।

বক্তব্যে তিনি স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি যেন আর কখনও মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার সুযোগ না পায়, সেজন্য দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।

অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে এই সমাবেশে বক্তব্য রাখেন শহীদ জায়া শ্যামলী নাসরীন চৌধুরী, অধ্যাপক রফিকুল হক, অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল, সাংবাদিক গোলাম সারওয়ার।

বাংলাদেশে ইউনেস্কোর আবাসিক প্রতিনিধিও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

শেখ হাসিনা এসে পৌছালে জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে সমাবেশ শুরু হয়। চার ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠের পর শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীরা তিনটি দেশাত্মবোধক গান গেয়ে শোনান।

এরপর বাংলাদেশের ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ দিনটি নিয়ে নিজের লেখা কবিতা ‘স্বাধীনতা এ শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো’ আবৃত্তি করেন নির্মলেন্দু গুণ।

রামেন্দু মজুমদার ও নুজহাত চৌধুরীর সঞ্চালনায় এরপর বক্তব্যের মাঝে মাঝে গানে গানে আবর্তিত হয় অনুষ্ঠান। গান গেয়ে শোনান শাহীন সামাদ, মমতাজ ও সাজেদ আকবর। আবৃত্তি করেন আসাদুজ্জামান নূর।

সমাবেশের জন্য সোহরাওয়ার্দীতে মঞ্চ বানানো হয় আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক নৌকার আদলে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য সামনে ছিল আলাদা একটি মঞ্চ।

সমাবেশে যোগ দিতে শনিবার সকাল থেকে ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকা থেকে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মিছিল ছিল সোহরাওয়ার্দী উদ্যান পানে। পাশাপাশি বিভিন্ন পেশা এবং শিক্ষার্থীরাও জড়ো হন সেখানে।

বাস, ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহনে মিছিল আসছিল; বাদ্যযন্ত্র নিয়ে নেচে-গেয়ে  যোগ দেন অনেকে। তাদের হাতে ছিল বিভিন্ন ব্যানার-ফেস্টুন, অনেকের গায়ে একই রঙের টি-শার্ট, মাথায় একই রঙের ক্যাপ।

সমাবেশের কারণে ওই এলাকায় গাড়ির চাপ কমাতে রূপসী বাংলা হোটেলের মোড়, কাকরাইল মসজিদ মোড়, জিপিও মোড়, গোলাপ শাহ মাজার, ঢাকা মেডিকেলের মোড় এবং নীলক্ষেত মোড় এলাকায় মিছিলবাহী গাড়ি আটকে দেয় পুলিশ। ফলে এই সব স্থান থেকে নেমে হেঁটে যেতে হয় উদ্যানে।

সাড়ে চার দশক আগে বাংলাদেশের স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা যখন চূড়ান্ত পর্যায়ে, সেই ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই (তখন নাম ছিল রেসকোর্স ময়দান) ৭ কোটি বাঙালিকে যুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি ঘোষণা দেন, “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম- এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।”

তার ওই ভাষণের ১৮ দিন পর পাকিস্তানি বাহিনী বাঙালি নিধনে নামলে বঙ্গবন্ধুর ডাকে শুরু হয় প্রতিরোধ যুদ্ধ। নয় মাসের সেই সশস্ত্র সংগ্রামের পর আসে বাংলাদেশের স্বাধীনতা।

রাঙ্গামাটিতে আলহাজ্ব এ কে এম মকছুদ আহমেদের সাংবাদিকতায় ৫৫ বছর পূর্তিতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সম্মাননা স্মারক প্রদান : একজন গুণি ব্যক্তিকে যথাযথ সম্মাননা জানানো সবার দায়িত্ব ও কর্তব্য —মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান সবার দোয়া আর আল্লাহর অশেষ রহমত না হলে ৫৫ বছর পুরণ করতে পারতাম না—এ কে এম মকছুদ আহমেদ

Archive Calendar
Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930