আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, যে পাহাড়ে এক সময় অস্ত্রের ঝনঝনানি ছিলো, প্রধানমন্ত্রী ৯৬ সালে রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসে শান্তিচুক্তির মাধ্যমে এই পাহাড়ে শান্তির সুবাতাস ফিরিয়ে এনেছিলেন। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে এই পাহাড়ি এলাকায় আবারো নতুন করে অশান্ত পরিবেশ তৈরির চেষ্টা চলছে।
তিনি আজ সোমবার সকালে রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
মাহবুবুল আলম হানিফ সন্তু লারমাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘‘দাবি-দাওয়ার নামে অস্ত্র হাতে নিয়ে যারা এখনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন তাদের উদ্দেশ্যে খুব পরিষ্কার ভাবে জানাচ্ছি অস্ত্র কোনোদিন শান্তির ভাষা হতে পারে না। অস্ত্রের ভাষা কোনো দাবি আদায়ের ভাষা হতে পারে না।’’
হানিফ আরো বলেন, পৃথিবীর কোথাও অস্ত্র দিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে কেউই তার রাজনৈতিক সুবিধা অর্জন করতে পারেনি, স্বাধীন বাংলাদেশেও পারবে না।
তিনি বলেন, ‘‘আপনাদের যদি কোনো সমস্যা থাকে দাবি-দাওয়া থাকে তাহলে আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতেই সমস্যার সমাধান হতে পারে। এই লক্ষ্যে জননেত্রী শেখ হাসিনার দরজা সব-সময় খোলা রয়েছে। কিন্তু সেটি না করে অস্ত্র নিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করলে তিনি সন্ত্রাসী হিসেবেই বিবেচিত হবেন। আর সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কিভাবে পদক্ষেপ নিতে হয় সেটি বর্তমান সরকার জঙ্গিবাদ দমনের মাধ্যমে ইতোমধ্যেই প্রমাণ রেখেছে। পাহাড়েও সন্ত্রাসী হিসেবে বিবেচিতদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের করণীয় সবকিছুই করবে।’’
এই সরকার দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় বদ্ধ পরিকর জানিয়ে হানিফ বলেন, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের মূল উৎপাটন করতে যা যা করণীয় তার সবটুকুই করবে। এই ধরনের যেকোনা সমস্যার সমাধান করতে বর্তমান সরকার সক্ষম এটা ইতোপূর্বে প্রমাণও করেছি।
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘‘আমাদের নেতাকর্মীদের উপর যদি বিচ্ছিন্নভাবে আর একটিও হামলার ঘটনা ঘটানো হয়, তাহলে সেগুলো কিভাবে মোকাবেলা করতে হয় সেটা আমরা জানি এবং প্রশাসন সেভাবেই সেগুলো মোকাবেলা করবে।
অন্যায় করে কেউ পারপাবে এটা হবেনা উল্লেখ করে হানিফ বলেন, পাহাড়ের মানুষের নিরাপত্তা ও শান্তির জন্যে অত্রাঞ্চলের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আইনের যতটুকু প্রয়োগ করা দরকার তার সবটুকু অবশ্যই প্রয়োগ করবে।
রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদারের সভাপতিত্বে এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মো: মুছা মাতব্বরের সন্ঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীম, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি, উপ প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, উপ দপ্তর সম্পাদক ব্যারিষ্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ছাত্রলীগের সাবেক সম্পাদক মাহফুজুল আলম, সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু বক্তব্য রাখেন।