বান্দরবানে বর্ণিল আয়োজনে ছাত্রলীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বুকে ধারণ করে বর্তমান সরকারের উন্নয়নের বার্তা ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয়ার আহবান জানিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী বঙ্গবন্ধু মুক্তমঞ্চে আলোচনা সভা ও কেক কাটা অনুষ্টানে এসময় তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু মানে বাংলাদেশ, বাংলাদেশ মানেই ছাত্রলীগ। দীর্ঘ সময়ের পথচলায় সংগঠনটি বিভিন্ন ইতিহাসের অংশ হয়েছে। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, যুক্তফ্রন্টের নির্বাচন, শিক্ষা আন্দোলন, ছয় দফা আন্দোলনে ছাত্রলীগ অবিস্মরণীয় অবদান রাখে।
এরপর উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ১৯৮৩ সালের শিক্ষা আন্দোলন, স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আজকের এই ছাত্রলীগ। এছাড়া শিক্ষার্থীদের সহায়তা, বন্যার সময় দেশের মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে প্রশংসা কুড়িয়েছে ছাত্রলীগ। প্রতিষ্ঠার পর থেকে ছাত্রলীগ দেশের ইতিহাসের অংশ হয়েছে। ৫২ থেকে ৭৫ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর দিক নির্দেশনায় ছাত্রলীগ মুক্তিযুদ্ধসহ সব ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।
বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে ছাত্রলীগ। এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে বন্যা, পাহাড় ধস ও রোহিঙ্গাদের সাহায্যে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। ১৯৪৮ সালের ৪ঠা জানুয়ারী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া আজকের এই ছাত্রলীগ। দীর্ঘ পথ চলায় এই সংগঠনের রয়েছে অনেক সুনাম। এসময় প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি আরো বলেন, আগামী নির্বাচনে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতিকে বিপুল ভোটে জয় নিশ্চিতে ছাত্রলীগের সদস্যদের অক্লান্ত পরিশ্রম করতে হবে। ছাত্রলীগের সদস্যরা কোন অন্যায় কাজে জড়িত না হয়ে দেশ ও জাতির সেবায় এগিয়ে আসবে আর তার মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে অগ্রণী ভুমিকা রাখবে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
বর্ণাঢ্য আয়োজনে বান্দরবানে ছাত্রলীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করেছে জেলা ছাত্রলীগ। কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে শুরু হয় ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনের প্রথম পর্ব।
এর পরপর একটি বর্নাঢ্য শোভাযাত্রা বান্দরবান শহরের স্থানীয় রাজার মাঠ থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বঙ্গবন্ধু মুক্তমঞ্চে এসে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে ছাত্রলীগ ও এর অংগ সংঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেয় ।
পরে শহরের বঙ্গবন্ধু মুক্তমঞ্চে আয়োজন করা হয় এক আলোচনা সভা ও কেক কাটা অনুষ্টানের। অনুষ্টানে কেক কাটার পর সকলের মধ্যে চলে মিষ্টি বিতরণ কার্যক্রম।
প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্টানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কাউছার সোহাগ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে এসময় অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কাজল কান্তি দাশ, মো:শফিকুর রহমান, সহ-সভাপতি একেএম জাহাঙ্গীর, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম বেবী, পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য লক্ষীপদ দাস, সদস্য মোজাম্মেল হক বাহাদুর, পৌর কাউন্সিলর মো: হাবিবুর রহমান খোকন, অজিত কান্তি দাশ, মহিলা পৌর কাউন্সিলর সালেহা বেগম, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি অমল কান্তি দাশ, সাধারণ সম্পাদক সামশুল ইসলাম, জেলা কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মামুনুর রশীদ মামুন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি তৌহিদুর রহমান চৌধুরী রাশেদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুজন চৌধুরৗ সঞ্জয়, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জনি সুশীল, কলেজ ছাত্রলীগের আহবায়ক নাজমুল হোসেন বাবলু, সদস্য সচিব টিপু দাশসহ আওয়ামীলীগ, কৃষক লীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ সহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

মুক্ত গণমাধ্যম চাই : সকল গণমাধ্যমে এক নীতিমালা, তথাকথিত ওয়েজ বোর্ড বাতিল, নিজস্ব বেতন বোর্ড, বিজ্ঞাপন ও ক্রোড়পত্র নীতিমালা নিয়ন্ত্রণ মুক্ত, প্রয়োজনীয় কাঁচামালের মূল্য কমানো ও মফস্বলের পত্রিকাগুলো সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করে টিকিয়ে রাখতে হবে

Archive Calendar
Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031