॥ খাগড়াছড়ি সংবাদদাতা ॥ পদ্মাসেতু এখন আর স্বপ্ন নয়, দৃশ্যমান বাস্তবতা এমন মন্তব্য করে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকার সময় যে প্রকল্প গ্রহনের সাহসও করেনি। শেখ হাসিনা পেরেছেন, আর এটাই খালেদা জিয়ার অন্তরজ্বালা। পদ্মা সেতুর নির্মানকাজ যথাসময়ে সম্পন্ন হবে। ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা তখন দেখবো বিএনপির নেত্রীসহ সেতাকর্মীরা পদ্মা সেতু দিয়ে যায় কিনা।
বুধবার দুপুরের দিকে খাগড়াছড়ির রামগড়ে ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু-১ নির্মানের এলাকা পরিদর্শন কালে সাংবাদিক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
নির্বাচন নিয়ে বিএনপি জাতিকে বিভ্রান্ত করছে মন্তব্য করে সেতু মন্ত্রী মো: ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার অধীনে নয়, নির্বাচন কমিশনের অধীনেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের সাথে যুক্ত সকল বিভাগ ও সংস্থা তখন নির্বাচন কমিশনের অধীনে ন্যাস্ত হবে। পুলিশ তখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নয়, নির্বাচন কমিশনের অধীনেই কাজ করবে।
ভারত ও বাংলাদেশ বিভিন্ন সংযোগ প্রকল্পে একযোগে ঘনিষ্টভাবে কাজ করছে উল্লেখ করে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বলেন, ফেনী নদীল ওপর প্রস্তাবিত সেতু তেমনই একটি প্রকল্প। এ সেতু দক্ষিন ত্রিপুরা ও বাংলাদেশের বানিজ্যিক রাজধানীর মধ্যে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা করবে। এ সেতুর ফলে এলাকার উন্নতির পাশাপাশি ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু ত্রিপুরা ও বাংলাদেশের মধ্যে ব্যবসা ও পর্যটন ক্ষেত্রে উন্নয়ন সাধিত হবে। এ বছওে ফেব্রুয়ারীর মধ্যে মৈত্রী সেতুর কাজ শুরু করে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে বলেও সাংবাদিকদের জানান তিনি।
এর আগে রামগড় পৌরসভা মিলনায়তনে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী মো: ওবায়দুল কাদের এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলার নেতৃত্বে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হন।
এসময় ভারত প্রত্যাগত শরনার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য কংজরী চৌধুরী, খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধুরী,খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো: রাশেদুল ইসলাম, খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো: আলী আহমেদ খান ও মাটিরাঙ্গা পৌরসভার মেয়র মো: শামছুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।