বাংলাদেশের ক্রিকেটে অনেক প্রথমের জন্ম যার হাত ধরে, তিনি এখানেও প্রথম। বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে সাকিব জায়গা পেয়েছেন সম্মানজনক আইসিসি ক্রিকেট কমিটিতে। সম্মানিত করেছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটকেও।
সাকিবসহ নতুন চার সদস্য নিয়ে গত ১ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে বর্তমান কমিটির দায়িত্ব। তবে কমিটির প্রথম সভা আগামী ৯ ও ১০ জানুয়ারি, সিডনিতে। সভায় যোগ দিতে ৭ জানুয়ারি ঢাকা ছাড়বেন সাকিব।
অক্টোবরে কমিটিতে জায়গা পাওয়ার পরই সাকিব বলেছিলেন, এটা তার জন্য অনেক বড় সম্মান। প্রথম সভার আগে সেই রোমাঞ্চ তাকে আলোড়িত করছে ভেতরে ভেতরে।
“আমি ওখানে গিয়ে স্রেফ দর্শক হয়ে বসে থাকতে চাই না। অবদান রাখতে চাই। যে কয় বছর কমিটিতে থাকব, পুরোটাতেই সক্রিয় থাকতে চাই। সেভাবেই ভাবছি, প্রস্তুতি নিচ্ছি। পার্থক্য গড়ার মত কিছু বলতে বা করতে না পারলে তো সভায় গিয়ে লাভ নেই।”
“সভার এজেন্ডাগুলো ওরা পাঠিয়ে দিয়েছে। অনেক কাগজপত্র। সেগুলো দেখছি। নিজের মতামত যা থাকবে, সেসব নিয়ে ভাবছি। প্লেনে ওঠার পর ফাইনাল টাচ দেব। লম্বা ফ্লাইটে শেষের সবটুকু গুছিয়ে নেব।”
এমসিসি ক্রিকেট কমিটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ২০০৬ সালে। কমিটিতে থাকেন বর্তমান ও সাবেক ক্রিকেটার ও আম্পায়াররা। প্রতি বছর দুই বার করে সভা হয় এই কমিটির।
ক্রিকেটের প্রাসঙ্গিক অনেক কিছু নিয়ে আলোচনা করে এই কমিটি। সমসাময়িক ক্রিকেটের আইন-কানুনসহ নানা পরিবর্তন ও ক্রিকেটের ভালো-মন্দ নিয়ে সুপারিশ করে আইসিসিকে। আইসিসি সভায় অনুমোদন সাপেক্ষে বাস্তবায়ন হয় সেসবের।
সাকিবের পাশাপাশি এবার কমিটিতে নতুন সদস্য নিউ জিল্যান্ড মেয়েদের দলের ক্রিকেটার সুজি বেটস, সাবেক ফাস্ট বোলার ও বর্তমানে ধারাভাষ্যকার ইয়ান বিশপ, সাবেক ক্রিকেটার ও বর্তমানে আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা।
কমিটির বর্তমান চেয়ারম্যান সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক মাইক গ্যাটিং। ১৪ সদস্যের কমিটিতে আছেন রডনি মার্শ, সৌরভ গাঙ্গুলি, রিকি পন্টিং, ব্রেন্ডন ম্যাককালাম, কুমার সাঙ্গাকারা, টিম মে, রমিজ রাজার মত ক্রিকেট ব্যক্তিত্বরা।
এবারের সভার পর কমিটির পরের সভা হবে আগামী ৬ ও ৭ অগাস্ট, লর্ডসে।