সচেতন নাগরিক কমিটির ডাকে রাঙ্গামাটিতে মহা সমাবেশে যোগ দেয়ার অপরাধে বিলাইছড়ি আওয়ামীলগের তিন নেতা কর্মীর উপর হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার এবং মহিলা সংদস সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু।
গত ৩১ জানুয়ারী সকালে দীপংকর তালুকদার এবং গতকাল মহিলা সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু আহত ৩ জনকে রাঙ্গামাটি হাসপাতালে দেখতে জানান এবং তাদের চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন।
এ সময় দীপংকর তালুকদার এই হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেন, দেশের যে কোন মানুষ রাজনীতি করার অধিকার রয়েছে। সেই অধিকারে কারো হস্তক্ষেপ কোন ভাবেই কাম্য নয়। তিনি বলেন, আঞ্চলিক দল গুলো যে ভাবে রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীগের নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালাচ্ছে তা কোন ভাবেই মেনে নেয়া যায় না। তিনি এই হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
এদিকে মহিলা সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু বলেন, হামলাকারীরা কার নির্দেশে এই হামলা চালাচ্ছে তা প্রশাসনকে খুজে বের করতে হবে। এই হামলাকারীদের এলাকার জনগন চিনে এলাকার জনগনের সহযোগিতায় খুঁজে বের করার জন্য প্রশাসনকে আহবান জানান। আঞ্চলিক দল গুলো যে ভাবে আওয়ামীলীগকে টার্গেট করে প্রতিনিয়ত হামলা চালাচ্ছে তা কোন ভাবেই মেনে নেয়া যায়। তিনি বলেন, মহা সমাবেশে যোগ দেয়ার কারণে যে হামলা হয়েছে তাতেই বোঝা যায় তারা অবৈধ অস্ত্র দিয়ে পার্বত্য অঞ্চলে রাজত্ব করতে চাচ্ছে।
উল্লেখ্য গত ৩০ জানুয়ারী সন্ধ্যায় বিলাইছড়ির দূর্গম তিনকুনিয়া এলাকায় একটি চায়ের দোকান থেকে দুবৃর্ত্তরা আওয়ামীলীগের তিন নেতাকে ডেকে নিয়ে অর্তকিতে ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা দিয়ে হামলা চালায়।
আক্রান্তরা হলেন, বিলাইছড়ি ৯নং ওর্য়াড আওয়ামীলীগ সভাপতি মৃণাল কান্তি তংচঙ্গ্যা, বিলাইছড়ি সেচ্ছাসেবক লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক জয় চাঁদ তংচঙ্গ্যা, বিলাইছড়ি ৯নং ওর্য়াড আওয়ামীলীগ সদস্য জয়নাল তংচঙ্গ্যা।
আওয়ামী লীগের তিন নেতার উপর হামলা চালিয়ে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। রাতে গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের প্রথমে বিলাইছড়ি থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পরে বুধবার (৩১ জানুয়ারী) সকালে রাঙ্গামাটি জেলারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।