জাতীয় পার্টি ও বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত জাতীয় জোটের আয়োজনে ৭ এপ্রিল শনিবার চট্টগ্রাম লালদীঘি ময়দানে লক্ষাধিক মানুষের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত মহাসমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান সাবেক সফল রাষ্ট্রনায়ক পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। মহাসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সম্মিলিত জাতীয় জোট নেতা ও বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট চেয়ারম্যান আল্লামা এম এ মান্নান। পল্লীবন্ধু এরশাদ বলেন, আজকে দেশের মানুষ শান্তিতে নেই, এই অরাজক পরিস্থিতি থেকে মুক্তি চাই। গরিব, দুঃখি, মেহনতি মানুষ খুব কষ্টে দিনাতিপাত করছে। চালের দাম ৬০-৭০ টাকা, মানুষের ক্রয়ের সামর্থ নাই। আমার আমলে দেশের মানুষ শান্তিতে ছিল, খুন-রাহাজানি ছিল না- চাঁদাবাজি ছিলনা। আমার সময় ইয়াবা ছিল না। এখন চায়ের দোকানেও ইয়াবা পাওয়া যায়। দেশের নতুন প্রজন্ম ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে, তাদেরকে বাঁচাতে হবে। তিনি বলেন, আমাকে দেশের কিছু মানুষ স্বৈরাচারী বলেন, অথচ বর্তমান সরকারকে আন্তর্জাতিকভাবে স্বৈরাচারী ঘোষণা করা হয়েছে। আজকে লালদীঘি ময়দানে মোমবাতির গণজোয়ার দেখে আমি উজ্জ্বীবিত হয়েছি। ইনশাল্লাহ্ মোমবাতির আলো নিয়ে জাতীয় পার্টি-ইসলামী ফ্রন্ট রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাবে। এরশাদ বলেন, আজকে দেশে নাকি উন্নয়নের গণজোয়ার চলছে, বর্তমানে উন্নয়ন হচ্ছে না- দূর্নীতির গণজোয়ার চলছে। আপনারা দেখুন ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম আসতে আগে পাঁচ ঘণ্টা লাগতো, এখন লাগে পনের ঘণ্টা সময়। যদি উন্নয়ন হয় এতো খানা-খন্দক, রাস্তা-ঘাট ভাঙা-চূড়া কেন। তিনি ইসলামী ফ্রন্ট চেয়ারম্যান আল্লামা এম এ মান্নান, মহাসচিব এম এ মতিন ও জিয়াউদ্দিন বাবলু এম.পির হাত ধরে আগামীতে তাদেরকে সংসদে পাঠানোর জন্য লক্ষ জনতাকে হাত তুলে ওয়াদাবদ্ধ করেন। আমার সময় যে উন্নয়নের গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছিল সেটি চট্টগ্রামে আবার হবে ইনশাল্লাহ্। তিনি মোমবাতি প্রতীক দেখিয়ে বলেন, আপনারা মোমবাতি এবং লাঙ্গল প্রতীকের যে গণজোয়ার দেখিয়েছেন, তাতে প্রমাণিত হয় আগামীতে সরকার গঠন করবে জাতীয় পার্টি ও ইসলামী ফ্রন্টের নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত জাতীয় জোট।
সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট চেয়ারম্যান আল্লামা এম এ মান্নান বলেন, বড় দুই জোটের রেষারেষি হিংসাত্মক ও ধ্বংসাত্মক রাজনীতি থেকে দেশবাসী আজ পরিবর্তন চায়। দুই জোটের শাসন-শোষণে দেশবাসী বারবার নিষ্পেষিত ও নিপীড়িত হচ্ছে। দেশবাসী বিদ্যমান অরাজকতা ও বিদ্বেষের রাজনীতির অবসান চায়। দেশবাসীর প্রত্যাশার আলোকে দেশে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সম্মিলিত জাতীয় জোটের পুনরায় রাষ্ট্র ক্ষমতায় আনার বিকল্প নেই। বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট চেয়ারম্যান আল্লামা এম এ মান্নান বলেন, জাতির মেরুদন্ড শিক্ষাব্যবস্থাকে দুর্বল করে দিতে আজ নানামুখী দুরভিসন্ধি চলছে। অযোগ্য, অথর্ব মূলধারার থেকে বিচ্ছিন্ন কওমি শিক্ষাব্যবস্থার সনদের সরকারি স্বীকৃতি একটি আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত। তা অচিরেই টের পাওয়া যাবে। আল্লামা এম এ মান্নান বলেন, দেশে সুশাসন ও প্রকৃত গণতন্ত্র চর্চা আজ সংকুচিত হয়ে পড়েছে। শেয়ারবাজারে ধস, ব্যাংকগুলো দেউলিয়া হয়ে পড়া, নিয়োগ পরীক্ষাসহ সকল পাবলিক পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের মাধ্যমে জাতিকে মেধাশূন্য করার চক্রান্ত, সারাদেশে মাদকের অবাধ সয়লাব, নারী-শিশু ধর্ষণ ও হত্যাকা-, অপহরণ-খুন-গুম আতংক, সরকার দলীয় ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নিরবচ্ছিন্ন কলহ ও হানাহানিতে শিক্ষাঙ্গনে নৈরাজ্য পরিস্থিতি, বিদেশে অর্থ পাচার, উন্নয়ন প্রকল্পের নামে হরিলুট, জনঅসন্তোষ সত্ত্বেও দফায় দফায় গ্যাস, তেল, বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর মাধ্যমে জনভোগান্তি সৃষ্টি সত্ত্বেও সরকার আজ নির্বিকার দেশবাসীর এই বঞ্চনা ও নৈরাজ্যের অবসানে এরশাদের নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত জাতীয় জোটকে পুনরায় ক্ষমতায় আনতে দেশবাসীর সমর্থন কামনা করেন ইসলামী ফ্রন্ট চেয়ারম্যান আল্লামা এম এ মান্নান। সম্মিলিত জাতীয় জোটের প্রধান মুখপাত্র ও জাতীয় পার্টির মহাসচিব এ.বি.এম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, ২৪ মার্চ ঢাকার সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানে লক্ষ লক্ষ জনতার মহাসমাবেশের পর ইসলামী ফ্রন্ট মহাসচিব এম এ মতিন আমাকে বলেন আপনারা চট্টগ্রামে আসুন, আপনাদের জন্য চমক আছে। তিনি আজ আমাদের সাবেক সফল রাষ্ট্রনায়ক পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে চমক দিয়েছেন। তিনি বলেন, আমি আজকের এই লক্ষ লক্ষ জনতার উপস্থিতির জন্য ইসলামী ফ্রন্ট চেয়ারম্যান-মহাসচিবকে ধন্যবাদ জানাই। আজকে চট্টলবাসী প্রমাণ করেছে, তারা পরিবর্তন চায়। পরিবর্তনের জন্য সম্মিলিত জাতীয় জোট।
সম্মিলিত জাতীয় জোটের শীর্ষ নেতা ও বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট মহাসচিব মাওলানা এম এ মতিন দেশের সূফিবাদি শান্তিকামী অধিকারহারা মানুষকে সম্মিলিত জাতীয় জোটের পতাকা তলে এসে রাষ্ট্র ক্ষমতায় পরিবর্তন আনার তাগিদ দেন। এম এ মতিন বলেন, দেশে আজ গণতন্ত্র চর্চা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। প্রতিহিংসার রাজনীতি ও বিভেদের রাজনীতির বলি হচ্ছে দেশবাসী। আগামী জাতীয় নির্বাচন সকল দলের অংশগ্রহণে অবাধ ও সুষ্ঠু পরিবেশে না হলে দেশে আবারো অস্থিরতা-নৈরাজ্য তৈরি হবে। সকল পর্যায়ের নির্বাচন গ্রহণযোগ্য করতে সরকারের আন্তরিকতা ও নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা জরুরি বলে এম এ মতিন উল্লেখ করেন। সম্মিলিত জাতীয় জোট আগামী নির্বাচনে চমক সৃষ্টি করবে উল্লেখ করে এম এ মতিন বলেন, দেশবাসী পরিবর্তন চায়, সাবেক সফল রাষ্ট্র নায়ক এরশাদকে পুনরায় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় দেখতে চায়। দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনতে সম্মিলিত জাতীয় জোটের বিকল্প নেই। এম এ মতিন বলেন, সর্বনাশা মাদকে পুরো দেশ সয়লাব, সম্ভাবনাময়ী যুব-তরুণরা মাদকের আগ্রাসনের শিকার হয়ে নিজেদের জীবনকে কলুষিত করে ফেলছে। মাদকের অবিধ বিকিকিনু থামাতে প্রয়োজনে সেনাবাহিনীর হাতে দায়িত্ব দেয়ার আহ্বান জানান তিনি। সুন্নি মতাদর্শের আলোকে ইসলামী সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় দেশবাসী আজ ইসলামী ফ্রন্টের প্রতি আস্থাশীল বলে তিনি মন্তব্য করেন।
মহাসমাবেশে ইসলামী ফ্রন্ট সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব ও জোটের কেন্দ্রীয় লিয়াজোঁ কমিটির সদস্য মাওলানা স উ ম আবদুস সামাদ বলেন, চট্টগ্রামবাসী আজ উন্নয়ন বিড়ম্বনার শিকার। অপরিকল্পিত নামে নগরবাসীর দূর্ভোগ দিন দিন বাড়ছে। সামনে আসছে বর্ষা। নগরবাসী আতঙ্কিত। উন্নয়নের জোয়ারে নয়, কর্ণফুলীর জোয়ারে ভাসছে চট্টগ্রাম। সেবা সংস্থাগুলোর সমন্বয়হীনতা এবং যানজট-জলজটে নগরবাসীর অবস্থা কাহিল হয়ে উঠেছে। ধুলোবালি ও কংক্রিটের স্তুপে পরিণত হয়েছে নগরী। স উ ম আবদুস সামাদ বলেন, বন্দরে নিয়োগসহ সর্বক্ষেত্রে নিয়োগে চট্টগ্রামবাসী আজ উপেক্ষিত। সম্মিলিত জাতীয় জোটের শরিক বড় দল জাতীয় পার্টির দেশ পরিচালনায় অভিজ্ঞ পারদর্শী নেতৃত্ব এবং চট্টগ্রামসহ দেশব্যাপি ছড়িয়ে থাকা বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, যুবসেনা ও ছাত্রসেনার লক্ষ লক্ষ মেধাবী সুশৃঙ্খল কর্মীবাহিনীর সম্মিলিত জাতীয় জোট আগামীদিনে দেশ পরিচালনার ভার নিতে প্রস্তুত বলে তিনি উল্লেখ করেন।
মহাসমাবেশে বক্তব্য দেন- জাতীয় পার্টির মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার এম.পি, বন ও পরিবেশ মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এম.পি, প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু এম.পি, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট মহাসচিব মাওলানা এম এ মতিন, সাবেক মেয়র ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, মহাসমাবেশ প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক ও জাতীয় পার্টি চট্টগ্রাম নগর আহ্বায়ক সোলায়মান আলম শেঠ, জাপা প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাসুদা এম রশিদ এম.পি, বিএনএ চেয়ারম্যান সেকান্দর আলী মনি, জাপা প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায়, মেজর (অব:) খালেদ আক্তার, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মহাসমাবেশ সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক ও জোটের কেন্দ্রীয় লিয়াজোঁ কমিটির সদস্য স উ ম আবদুস সামাদ, ইসলামী ফ্রন্টের প্রেসিডিয়াম সদস্য আল্লামা মছিহুদ্দৌলা, মুফতি মুহাম্মদ ছাদেকুর রহমান হাশেমী, অধ্যক্ষ মুফতি আহমদ হোসাইন আলকাদেরী, মাওলানা আবু সুফিয়ান আবেদী আলকাদেরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজী এম এ ওয়াহিদ সাবুরী, মাওলানা হারুনুর রশিদ রেজভী, জাপা ভাইস চেয়ারম্যান হাজী মো: ইলিয়াছ এম.পি, মাহজাবীন মোর্শেদ এম.পি, ইসলামী ফ্রন্ট যুগ্ম-মহাসচিব অধ্যক্ষ জাফর মঈনুদ্দীন, অধ্যাপক এম এ মোমেন, সাংগঠনিক সচিব মাওলানা মাসুদ হোসাইন আলকাদেরী, বিভাগীয় সাংগঠনিক সচিব সৈয়দ মোজাফ্ফর আহমদ মোজাদ্দেদী, কাজী মুহাম্মদ সোলাইমান চৌধুরী, অধ্যক্ষ আলী মোহাম্মদ চৌধুরী, এডভোকেট ইসলাম উদ্দীন দুলাল, সম্মিলিত জাতীয় জোট বৃহত্তর চট্টগ্রাম মহাসমাবেশ সমন্বয় কমিটির সচিব নঈম উল ইসলাম, ইসলামী ফ্রন্টের মহাসমাবেশ সমন্বয় কমিটির সচিব এডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, জাপা চেয়ারম্যানের শিল্প বিষয়ক উপদেষ্টা সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, যুব বিষয়ক উপদেষ্টা রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, দক্ষিণ জেলা জাপার সভাপতি শামসুল আলম মাস্টার, সাবেক এম.পি নজরুল ইসলাম, জাতীয় পার্টির যুগ্ম মহাসচিব দিদারুল আলম, ইসলামী ফ্রন্ট মহানগর দক্ষিণ সভাপতি অধ্যক্ষ নুরুল ইসলাম জিহাদী, উত্তর জেলা সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা তৈয়্যব আলী, দক্ষিণ জেলা জাপা’র সাধারণ সম্পাদক নুুরুচ্ছফা সরকার, চট্টগ্রাম মহানগর সদস্য সচিব এয়াকুব হোসেন, দক্ষিণ জেলা ইসলামী ফ্রন্ট সাধারণ সম্পাদক মাস্টার আবুল হোসাইন, উত্তর জেলা সাধারণ সম্পাদক গোলামুর রহমান আশরফ শাহ্, মহানগর উত্তর সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন মাহমুদ, মহানগর দক্ষিণ সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আশরাফ হোসাইন, জাপা চট্টগ্রাম মহানগর নেতা কামাল উদ্দিন তালুকদার, আলহাজ্ব আবদুল্লাহ মিয়া, যুবসেনা সভাপতি ফিরোজ আলম খোকন, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মুহাম্মদ আবু আজম, ছাত্রসেনার সভাপতি এইচ.এম. শহিদুল্লাহ, লিয়াজোঁ কমিটির সদস্য জিএম শাহাদত হোসাইন মানিক, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মুহাম্মদ খোবাইবসহ জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টসহ জোটের কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতৃবৃন্দ, আবদুল মতিন, সৈয়দ মুহাম্মদ হোসেন, মাওলানা রেজাউল করিম তালুকদার, আবদুল হাকিম, আকতার হোসেন চৌধুরী, এসএফ প্রধান নুরুল হক চিশতী, জসীম উদ্দিন, নাজিম উদ্দিন, মাস্টার মুহাম্মদ ইসমাইল, মাস্টার কমর উদ্দিন, নুরুল্লাহ রায়হান খান, নিজামুল করিম সুজন, ইমরান হোসেন তুষার, কাউসার আহমেদ রুবেল, মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম, দিদারুল ইসলাম কাদেরী, মুহাম্মদ সাহাব উদ্দিন, এম সাইফুল ইসলাম নেজামী, হাবিবুর রহমান, রফিকুল ইসলাম, মফিজুল ইসলাম, হোসাইন মুহাম্মদ এরশাদ, মুহাম্মদ মাছুমুর রশীদ কাদেরী, মুহাম্মদ ফোরকান কাদেরী, সরওয়ার উদ্দিন চৌধুরী, নুরুল ইসলাম হিরু, মুহাম্মদ ইদ্রিস, ছাত্র সমাজ সভাপতি নজরুল ইসলাম, আতা-ই-তানভীর প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সম্মিলিত জাতীয় জোট কেন্দ্রীয় লিয়াজোঁ কমিটির সদস্য ও ইসলামী ফ্রন্ট যুগ্ম মহাসচিব স উ ম আবদুস সামাদ, জাতীয় পার্টি চট্টগ্রাম মহানগর সদস্য সচিব মো: এয়াকুব হোসেন ও সমাবেশ সমন্বয় কমিটির সচিব ও মহানগর ইসলামী ফ্রন্ট উত্তর সভাপতি আলহাজ্ব নঈম উল ইসলাম।