চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন বলেছেন, পৃথিবীর প্রত্যেক শিশু আনন্দ-বিনোদনের মধ্যে বাঁচতে চায়। কিন্তু অনেক শিশু তা থেকে বঞ্চিত হয়। শিশুর প্রতি অবহেলা না করে পড়ালেখার পাশাপাশি তাদেরকে বিনোদনের সুযোগ দিয়ে স্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠার পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। শিশুর উপর যাতে কোন ধরনের মানসিক চাপ না পড়ে সে ব্যাপারে প্রত্যেক অভিভাবককে আন্তরিক হতে হবে। শিশুদের মেধার বিকাশ ঘটাতে সাংস্কৃতিক চর্চার কোন বিকল্প নেই। শিশুরা আগামী দিনের দেশের ভবিষ্যৎ। এদেশকে শিশুর বসবাস উপযোগী করে গড়ে তুলতে পারলে বাংলাদেশ কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবে।
আজ ১১ মে ২০১৮ ইং শুক্রবার বিকেল ৫টায় চট্টগ্রাম শিশু একাডেমীতে আয়োজিত ৪ দিনব্যাপী শিশু আনন্দ মেলা, সাংস্কৃতিক উৎসব ও শিশু নাট্য প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম শিশু একাডেমির কার্যক্রম ঢাকাসহ সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। ঢাকাস্থ কেন্দ্রীয় শিশু একাডেমির মতো এ প্রতিষ্ঠানও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে জাতীয়ভাবে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে। শিশু একাডেমির কার্যক্রম আরো বেগবান করতে হলে প্রশিক্ষণার্থীদেরকে পড়ালেখার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক ও বিনোদনমূলক কর্মকান্ডে এগিয়ে আসতে হবে। চট্টগ্রামবাসীর সার্বিক সহযোগিতা পেলে শিশু একাডেমির কার্যক্রমকে আরো অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো। শুধু নিজের সন্তান নয়, প্রত্যেক শিশুর প্রতি সকলকে যতœবান ও সংবেদনশীল হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
অতিরিক্ত জেলা জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. আমিরুল কায়সারের সভাপতিত্বে ও একাডেমির প্রশিক্ষক তানভীরুল ইসলাম নাহিদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত শিশু আনন্দ মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা নারগীস সুলতানা। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসকের সহধর্মিণী বেবি ফারহানা নাহার, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (স্থানীয় সরকার) ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি (উপ-সচিব), অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. দেলোয়ার হোসেন,অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. মাশহুদুল কবির, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর হাসিনা জাকারিয়া বেলা, ফুলকি’র অধ্যক্ষ শীলা মোমেন, ইলমা’র প্রধান নির্বাহী জেসমিন সুলতানা পারু ও জেলা শিল্পকলা একাডেমির সদস্য সাংবাদিক রনজিত কুমার শীল।
আনন্দমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ, শিশু একাডেমীর প্রশিক্ষক, ক্ষুদে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও আমন্ত্রিত সুধীজন উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের পূর্বে বেলুন উড়িয়ে ও ফুলেল ফিতা কেটে ৪ দিনব্যাপী শিশু আনন্দ মেলা, সাংস্কৃতিক উৎসব ও শিশু নাট্য প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে একাডেমির নৃত্য বিভাগের প্রশিক্ষণার্থীরা নৃত্যের মাধ্যমে জেলা প্রশাসককে স্বাগত জানান ও মানপত্র তুলে দেন। পরে শিশু আনন্দমেলার বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ। সবশেষে শিশু একাডেমির প্রাক্তন ছাত্র শিল্পী বাশার সিকদার একক সঙ্গীত পরিবেশন ও একাডেমির প্রশিক্ষণার্থীরা তবলার লহরায় অংশ নেন। এছাড়া বিশিষ্ট জাদু শিল্পী রাজীব বসাক জাদু প্রদর্শন করেন।