বিশেষ প্রতিবেদক : চাকুরীর প্রলোভন দিয়ে গাজীপুর জেলার সু–খ্যাত নেতাদের নাম ভাঙ্গিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখো টাকা, ওরা আসলে কারা? নাম শুনলে অভাক হতে হয়! প্রতারনার পাশাপাশি তাদের মুখের ভাষা যদি এতটা খারাপ হয় তাহলে তাদের কাছ থেকে মানুষ কি শিখবে, আর কিবা আশা করবে। কারন তারা প্রতারনাও করছে আবার উল্টো মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সকল সদস্য যেখানে উচ্চ শিক্ষিত সেখানে নোংরা কথাকে হাতিয়ার বানিয়ে তাদের সাথে চাকুরী দেবার নামে নেয়া টাকার কথা যেন কারো কাছে না বলে সেই ফন্দি পেতেছে। তাদের মতো নেত্রীরা যা করছে তাতে একটি জেলায় একজন থাকলে জাতীর জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শের দল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের বদনাম কামাতে খুব বেশি সময় লাগবেনা বোধ করি।
তার মতে নাম হালিমা আক্তার পলি, তিনি গাজীপুর মহানগর মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক। এই প্রমানটাও দিয়েছে কিছু সংখ্যক সুনামধারী নেতাদের সালাম বিনিময়ের মাধ্যমে, মেগাজিনে তার পদবিসহ ছবি ছাপিয়ে এবং ভিজিটিং কার্ড দিয়ে। আসলে শিক্ষিত পরিবারের সহজ সরল মাও পরে গেল তার ধোকাবাজির খপ্পরে।
জ্ঞ্যন অর্জনের শেষ সময় মৃত্যুর পূর্ব মুহুর্ত পর্যন্ত। সেই প্রেক্ষিতে অবসর প্রাপ্ত সরকারী কর্মকর্তা মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফের স্ত্রী আয়েশা নামের এক ভদ্র মহিলা চাকুরী থেকে অবসরের পর ঘরে বেকার বসে থাকতে ভাল না লাগায় এলএলবি পড়তে যায় মহাখালী ক্যাপিটাল ল কলেজে। যদিও মেয়ের জামাই, মেয়ে, ছেলে এবং ছেলের বধু প্রায় সময় দুষ্টামি করে বলত এখন নাতি নাতনীর সাথে লেখা পড়া কর, ভালই হবে। এলএলবি ক্লাসের ফাঁকে পরিচয় হয় হালিমা আক্তার পলি নামের এক ছাত্রীর সাথে। পলি জানায় তার পরিচয়, এতে করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে লালন করে এমন এক পরিবারের আয়েশা পলির প্রতি দুর্বল হয়ে পরে। কারন পলি গাজীপুর মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগ এর সাধারন সম্পাদক। তাদের মধ্যে বোনের সম্পর্ক হয়, আয়েশা এবং তার মুক্তিযুদ্ধা স্বামী হালিমা আক্তার পলিকে তাদের ছোট বোনের মতো করে দেখেন। এই সুযোগ হাত ছারা করতে রাজি নয় পলি। খুঁজতে থাকেন কোন পথ অবলম্বন করতে পারবেন কিছু নগদ টাকা উপার্জনের জন্য।
আয়েশাদের বাসায় পলির স্বামীসহ আসা যাওয়া হতে থাকে। এক পর্যায়ে পলি বুঝতে পারে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসি পরিবারটি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের যে কোন কর্মক্ষেত্রে যোগদানে দুর্বল হয়ে পরবে। ঠিক সেই সময়ে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগের কথা আলোচনা হয়। এর মধ্যে পলি জানায় এখানে তার চাকুরি দেয়া কোন বিষয়ই না। এতে করে আয়েশার মেয়ে অন্য জায়গায় বর্তমানে চাকুরী করলেও তার যুগ্যাতায় নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকুরীর আগ্রহ দেখায়। আয়েশা এবং তার মুক্তিযোদ্ধা স্বামীর ভাষায় জানায়, পলি তখন বলে যে আপা সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকুরী হলো বাঘের চক্ষু মেলানোর সমতুল্য, তবে এত টাকা আমাকে দিতে হবেনা অন্তত মিষ্টি বা চা পানের টাকাতো করবেন? সম্মতি দেন আয়েশা। তাদের মধ্যে কথা হলে পলি জানায় আপাতত এক লক্ষ টাকা দেন, আর চাকুরী হলে আরো দুই লক্ষ টাকা দিতে হবে। দুপক্ষের মধ্যে কথা হয় আপাতত আয়েশা পলিকে ৫০০০০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা দিবে, আর চাকুরী হলে আরো ১,৫০০০০(এক লক্ষ পঞ্চাশ) হাজার টাকা পলিকে দিতে হবে। সেই কথামতো ১৫/১/২০১৮ইং তারিখে মোহাম্মদপুর কলেজ গেটের কাছে আসেন পলি, তখন অয়েশার কাছ থেকে ৩০,০০০(ত্রিশ) হাজার টাকা বুঝে নেন হালিমা আক্তার পলি। তখন গাড়িতে বসা ছিলেন পলির স্বামী। তবে টাকা দেয়ার আগে থেকেই সে যে আওয়ামী মহিলালীগের নেত্রী সেইটা প্রমাণ করার জন্য আয়েশাকে নিয়ে আওয়ামীলীগের বিভিন্ন নেতাদের সামনে হাজির করায় এবং বিভিন্ন কর্মসুচিতে অংশগ্রহণ করায়। এরই মধ্যে ২৫/১/২০১৮ ইং তারিখ সকালে ফোন দিয়ে হালিমা আক্তার পলি জানায়, আজকেই টাকা লাগবে ২০,০০০(কুডি) হাজার। তখন আয়েশা বলেন ?পলি আমার এক নিকটতম মানুষ মারা গেছেন আমি আপনাকে কালকে দেই টাকাটা?। এতে করে পলি রাগ করে বলেন, টাকা আজই দিতে হবে সু–নামধারী–সুখ্যাতি সম্পন্ন এক নেতার নাম বল্লেন। আরো বলেন, আজ যদি …………….নেতাকে টাকা না দেই তাহলে কিন্তু আপনার মেয়ের চাকুরীটা নাও হতে পারে। (আয়েশার অনুরুধে আপাতত নেতার নামটা বলছিনা, প্রয়োজনে আরো অনেক তথ্য প্রকাশ করা হবে।) তখন আয়েশা টাকা দিতে রাজি হলে পলি তার সেক্রেটারী হিসেবে পরিচিত নয়নকে পাঠায় আয়েশার মেয়ের মহাখালী বাসায়। এসে হালিমার ফোনে নয়ন ধরিয়ে দেয় আয়েশার মুক্তিযোদ্ধা স্বামী আব্দুল লতিফ ভূঁইয়াকে, হালিমার সাথে ফোনে কথা শেষ করে অfব্দুল লতিফ সাহেব নয়নের নিকট ২০,০০০(কুড়ি) হাজার টাকা বুঝিয়ে দেয়। নয়ন টাকা নিয়ে হালিমার বাসায় গেলে আবারো ফোনে হালিমা জানায় টাকা পেয়েছে। (প্রমান হিসেবে নয়নের সাথে আয়শা এবং তার স্বামীর মোবাইল ফোনে কথোপকথনে নয়নের স্বীকারউক্তি)। তার পর থেকে হালিমা আক্তার পলি আস্তে আস্তে যোগাযোগে দুরত্ব বাড়াতে থাকে। চাকুরী যখন আয়েশার মেয়ের হলোনা এবং সময় যখন শেষ হয়ে গেল তখন আয়েশা টাকা চাইলেই উল্টা–পাল্টা কথা বলতে থাকে।
যখন টাকা ফিরে পাওয়ার জন্য ফোন দেয় তখন আয়েশার মুক্তিযোদ্ধা স্বামী এবং আয়েশাকে এমন কিছু নিকৃষ্ট কথা বলে যাহা একজন রিপোর্টারের পক্ষে আপনাদের জন্য প্রকাশ করা খুবই লজ্জাসকর। (যাহা আয়শার স্বামীর মোবাইলের কথোপকথনে রয়েছে কিছুটা অংশ)। লজ্জায়–ক্ষোভে–দুঃখে তাদের মন খারাপ অবস্থায় এই প্রতিবেদক জানতে চায় কি হইছে। কারন এই প্রতিবেদক আয়েশার খালাত ভাই হয়। তখন বিষয়টা অনুসন্ধানি প্রতিবেদককে বিস্তারিত জানায়, যদিও প্রতিবেদক জানতে চায় ঘুষ দিয়ে চাকুরী কেন? আর আমি আগে জানি নাই কেন? তারপরেও হালিমা আক্তার পলি এবং তার স্বামী এজাজ সাহেবের ফোন নং নিয়ে অফিসে চলে আসে। এক পর্যায়ে গত রমজানের ঈদের দুদিন পর অফিস থেকে সত্যতা এবং ঘটনা কি জানার জন্য 01712089503 নাম্বারে পলিকে বার বার ফোন দেয়া হয়। অনেকবার ফোন দেয়ার পর হালিমা আক্তার পলি ফোন রিসিভ করলে রিপোর্টার পরিচিত হতে চাইলেই পলি জানায় এখন নেত্রী (পলি নিজে) অসুস্থ, এখন নেত্রীর সাথে কথা বলা যাবেনা এবং লাইনটি কেটে দেয়। প্রতিবেদক কথা্ বলার জন্য আবারো বারবার ফোন দিলে মোবাইল বন্ধ করে দেয়। তার পর হালিমা আক্তার পলির স্বামী মহাখালী ডিওএইচএস এর বাসিন্ধা এজাজ সাহেবের 01987308890 নাম্বারে ফোন দেয়া হলে ফোন রিসিভ করে জানতে চান কে এবং কি ব্যপারে কথা বলতে চান। উত্তরে প্রতিবেদক জানায় নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকুরী দেয়ার কথা বলে তার স্ত্রীর টাকা নেয়ার কথাটা জানেন কিনা। এজাজ সাহেব প্রতিবেদককে এত নিকৃষ্ট কথা বলেছেন তাও আপনাদের সাথে শেয়ার করা সম্ভবনা। তবে এজাজ সাহেব প্রতিবেদককে হুমকি দিয়ে বলেন, এই টাকার ব্যাপারে আর একটি কথা বললে তোকে দেখে নিব। এবং ফোনটা কেটে দেয়।
উল্লেখ যে এতদিন পর কেন সংবাদ, কারন এতদিন পর্যন্ত হালিমা আক্তার পলির সন্মানের কথা মাথায় রেখে আয়েশা চাচ্ছিল যাতে সমাধান হয় । কিন্তু এখন হালিমা আক্তার পলি ফোন দিয়ে হুমকি দিতে থাকেন তাদের মেরে ফেলার বা ঢাকাতে এই মুক্তিযুদ্ধা পরিবারকে থাকতে দিবেনা। এবং মোবাই অডিওতে শোনা গিয়েছে পলি আয়েশা এবং তার স্বামীকে হুমকি দিয়ে বলছে আর একবার ফোন দিলে র্যা ব দিয়ে বাসা থেকে বের করে নিয়ে আসবে, তাই আয়েশা এবং তার স্বামীর অনুরুধে সংবাদটা প্রকাশ করা হলো । ………………… আরো পরবর্তী সংবাদে পাবেন–চলমান