২০০৯ সাল থেকে চলতি বছর পর্যন্ত পটিয়ায় ২ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন পটিয়া উপজেলা তথ্য অফিসার কামরুজ্জামান।
তিনি বলেন, পটিয়ার এমপি সামশুল হক চৌধুরী মহোদয়ের নেতৃত্বে গত ১০ বছর পটিয়ায় যে সব উন্নয়ন হয়েছে তা নজিরবিহীন। দেশের অন্যান্য সংসদীয় এলাকার তুলনায় পটিয়ার দৃশ্যমান উন্নয়ন প্রকল্পগুলো তুলে ধরে তিনি বলেন এটা সম্ভব হয়েছে পটিয়ার এমপি’র যোগ্য নেতৃত্বে। এসময় তিনি প্রধানমন্ত্রীর ১০ টি উন্নয়ন প্রকল্পের চিত্র তুলে ধরেন।
রাস্তাঘাট ছাড়াও যে সব দৃশ্যমান উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে উপজেলা চত্বরে নির্মিতব্য আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ অডিটোরিয়াম, প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ, পটিয়া থানা ভবন নির্মাণ,খাসমহলে আধুনিক ভূমি অফিস নির্মাণ, পটিয়া–বোয়ালখালী, পটিয়া–বৈলতলী সড়ক নির্মাণ, ৭ টি ইউনিয়ন কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ, ৪২০০টি গভীর নলকূপ স্থাপন, ৫৮টি কমিউনিটি ক্লিনিক ও ২৮টি ই–পোস্ট সেন্টার স্থাপন, পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ৫১ শয্যায় উন্নীতকরণ, পটিয়া পৌরসভার নিজস্ব ভবনসহ পৌর সদরে লাইটিং ও ড্রেনেজ সিস্টেম গড়ে তোলা।
বর্তমান সরকারের আমলে পটিয়া বাস স্ট্যান্ড নির্মাণ, পটিয়া বাইপাস সড়ক নির্মাণ, শিকলবাহা খালের ভাঙ্গনরোধ ও কাশিয়াইশ বেড়িবাঁধ নির্মাণ, এলজিইডির আওতাধীন প্রকল্পের অধীন ১০০.৮০ কিলোমিটার সড়ক কাজ ও গ্রোথ সেন্টার নির্মাণ, ১২৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ, ২৯ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা ভবন নির্মাণ কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
এছাড়াও ১০ টি কলেজের একাডেমিক ভবন নির্মাণ, মুক্তিযোদ্ধা ভবন নির্মাণ, পটিয়া কেন্দ্রীয় স্মৃতিসৌধ ও ঘৃণাস্তম্ভ নির্মাণ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীন ৩টি স্লুইস গেট ও বেড়িবাঁধ নির্মাণ, আনসার একাডেমিক ভবন নির্মাণ, পিটিআই ভবন নির্মাণসহ অনেক উল্লেখযোগ্য ও ছোট খাটো প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে। তাছাড়া প্রতিটি মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডায় জেনারেটর, আইপিএস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার ল্যাব প্রদান করা হয়েছে।
পটিয়ার এসব উন্নয়ন প্রকল্প ছাড়াও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন প্রকল্পগুলো নিয়ে পটিয়া ছাড়াও দক্ষিণ চট্টগ্রামের ৭ থানায় উঠান বৈঠক, মহিলা সমাবেশ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে সেগুলো প্রচার করছে পটিয়া উপজেলা তথ্য অফিস।