॥ শিশির দাশ বাবলা ॥ ত্রিশ লাখ শহীদ রক্ত দিয়েছিলো বলেই,বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে, এই স্বাধীনতা রক্ষায় আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে বলে জানিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রামের চারণ সাংবাদিক ও দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পাদক এ,কে,এম মকছুদ আহমেদ। তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশের ইসলামের উন্নয়নে ইসলামিক ফাউন্ডেশন তৈরী করেছে। এই ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চলের ইসলামের উন্নয়নে আরো বেশী কাজ করার আহবান জানান তিনি।
গতকাল মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাঙ্গামাটি ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগ র্যালীত্তোর ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পাদক এ,কে,এম মকছুদ আহমেদ এ কথা বলেন।
এর আগে ১৬ ডিসেম্বর সকালে রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাব চত্বর থেকে বিজয় র্যালীটি শুরু হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে এর পর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে গিয়ে বিজয় দিবসের তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা সভায় মিলিত হয়।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ পরিচালক মোহাম্মদ খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পাদক আলহাজ্ব এ কে এম মকছুদ আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ইমাম সমিতির রাঙ্গামাটি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ক্বারী মুহাম্মদ ওসমান গণি।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন রাঙ্গামাটি জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ সেলিম উদ্দিন। নাত পরিবেশন করেন কাঁঠালতলী জামে মসজিদের শিক্ষক হাফেজ তৈয়্যব আলী ও কুরআন তিলাওয়াত করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাষ্টার ট্রেইনার হাফেজ মাওলানা বখতিয়ার হোসেন। মিলাদ ও দোয়া পরিচালনা করেন গণশিক্ষা শিক্ষক সমিতি রাঙ্গামাটি জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা মোঃ রেজাউল করীম নঈমী।
সভায় বিজয় দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তারা বলেন, মহান রাব্বুল আল-আমিনের পক্ষ থেকে এ বিজয় ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য এক বিশেষ নেয়ামত। মুক্তিযোদ্ধারা এ জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান, তাঁদের আত্ম ত্যাগের মাধ্যমে আমরা একটি স্বাধীন রাষ্ট্র ও একটি পতাকা পেয়েছি। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সাড়ে সাত কোটি বাঙ্গালী ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল বলেই মহান স্বাধীনতার যুদ্ধে জয় সম্ভব হয়েছিল।
বক্তারা আরো বলেন, ইসলাম স্বাধীনতাকে যেমন গুরুত্ব দিয়েছে, তেমনি দেশপ্রেম ও দেশাত্ববোধকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে এবং একে ইমানের অংগ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। ইসলাম দরদী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বপ্রণোদিত হয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা, মাদ্রাসা শিক্ষা-বোর্ড পূনগঠনসহ বিভিন্ন ইসলামি কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছেন।
পরে মুক্তিযুদ্ধের শহীদানের রুহের মাগফিরাত এবং দেশ ও জাতির উত্তরোত্তর অগ্রগতি ও শান্তি কামনা করে বাদ জোহর মিলাদ ও মুনাজাত পরিচালনা করা হয়।