চট্টগ্রাম-৯ আসনে আওয়ামী লীগ ও মহাজোট প্রার্থী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল আজ সকালে তাঁর পিতা চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের প্রয়াত সভাপতি আলহাজ্ব এ.বি.এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর কবর জিয়ারত এবং জেল রোডে শাহ আমানত শাহ (রহ:) এর মাজার জিয়ারত শেষে নগরীর বক্সিরহাট ওয়ার্ডের নির্বাচনী গণসংযোগ করেন। এ সময় তিনি সম্মানিত ভোটারদের উদ্দেশ্যে বলেন, নৌকা স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রের প্রতীক। আমাকে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এ প্রতীকটি দিয়ে নির্বাচনী লড়াইয়ে অবর্তীণ করেছেন। আমি আপনাদের আস্থা ও ভালবাসা নিয়ে চট্টগ্রাম নগরীর উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ। আমাদের মনে রাখতে হবে আওয়ামী লীগ জিতলে বাংলাদেশ বাঁচবে। এ বাংলাদেশকে ধ্বংস করার জন্য যে অপশক্তি ষড়যন্ত্রে লিপ্ত তাদেরকে যে কোন মূল্যে প্রতিহত করতে হবে। গণসংযোগকালে ব্যারিস্টার নওফেল এর সাথে থাকা চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেন, চট্টগ্রাম মহানগরী কোতোয়ালী-বাকলিয়া চট্টগ্রাম-৯ আসনটিসহ ৬টি আসন শেখ হাসিনাকে উপহার দিতে নির্বাচনী লড়াইয়ে ঝাঁপ দিয়েছি। আমাদের এ লড়াই নগরবাসীকে নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে চট্টগ্রামসহ সারাদেশে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ। তিনি আরো বলেন, এখনও নির্বাচন বানচাল করার জন্য ৭১’র পরাজিত শক্তির দোসররা অপচেষ্টা চালাচ্ছে। ৩০ ডিসেম্বর দেশপ্রেমিক ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত থেকে নৌকার প্রতীকের পক্ষে রায় ঘোষণায় এখন সার্বক্ষণিকভাবে নির্বাচনী মাঠে আছি। তিনি চট্টগ্রাম-৯ আসনে আমাদের শ্রদ্ধাভাজন প্রয়াত নেতা, সাবেক সিটি মেয়র মরহুম আলহাজ্ব এ.বি.এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর সুযোগ্য সন্তান এবং তারুণ্যের অহংকার ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল’র বিজয় আমাদের প্রত্যাশ্যা ও প্রাপ্তির স্বপ্নযোগ ঘটাবে। চট্টগ্রাম-৯ নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি এড. ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল বলেন, স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ও সংবিধান ও গণতন্ত্র রক্ষায় নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করতে প্রতিটি মুহুর্তে আমাদেরকে নির্ভীকভাবে নিবেদিত হতে হবে। এ নির্বাচন কোন ব্যক্তির নয়, বাংলাদেশের অস্তিত্ব রক্ষার একটি কঠিন চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আওয়ামী লীগ ও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের রাজনৈতিক শক্তির তৃণমূল স্তরের নেতাকর্মীদের ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করতে হবে। গণসংযোগকালে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি এম জানে আলম দোভাষ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম এ রশিদ, মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা এ কে এম বেলায়েত হোসেন, আলহাজ্ব শফর আলী, কোষাধ্যক্ষ সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের আলহাজ্ব গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আলহাজ্ব শফিকুল ইসলাম ফারুক, আইন বিষয়ক সম্পাদক এড ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, তথ্য ও গবেষণা চন্দন ধর, বন ও পরিবেশ সম্পাদক মশিউর রহমান চৌধুরী, উপ দপ্তর সম্পাদক জহরলাল হাজারী, কোতোয়ালী থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল মনসুর, আওয়ামী লীগ নেতা জামশেদুল আলম চৌধুরী, কাউন্সিলর তারেক সোলায়মান সেলিম, হাজী নুুরুল হক, হাসান মুরাদ বিপ্লব, থানা আওয়ামী লীগের টিংকু বড়–য়া, জাহাঙ্গীর আলম, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ফয়েজউল্লাহ বাহাদুর, লুৎফুর রহমান ফারুক প্রমুখ।