আমজাদ হাফিজ,লাকসাম: ভাষা সৈনিক, বরেণ্য সাংবাদিক ও সাপ্তাহিক লাকসামের প্রকাশক-সম্পাদক আবদুল জলিল আর নেই। বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি লাকসামেরন একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৯০বছর। তিনি তিন ছেলে, তিন মেয়েসহ অসংখ্য স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে । পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ১৩ জানুয়ারি রোববার ভাষা সৈনিক আব্দুল জলিল তার নিজ বাড়িতে হৃদরোগে আক্রান্ত হলে তাকে হসপিটালে নেয়া হয়। ১৯৩৬ সালের ১ জানুয়ারি কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার চন্দনা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন ভাষা সৈনিক আবদুল জলিল। ৫২’র ভাষা আন্দোলনের সময় তিনি লাকসাম নওয়াব ফয়জুন্নেছা কলেজে একাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। মাতৃভাষার প্রতি ভালোবাসার কারণে যোগদান করেছিলেন ভাষা আন্দোলনে। তিনি দক্ষিণ কুমিল্লার প্রাচীন সংবাদপত্র ‘সাপ্তাহিক লাকসাম’ এর প্রকাশক ও সম্পাদক। তার লেখা নাটক ‘খুনে লাল বাংলা’ প্রকাশিত হয়েছে। তিনি বৃহত্তর লাকসাম ও কুমিল্লা সংক্ষিপ্ত অধ্যায়সহ জনপদ কথামালা, বৃহত্তর কুমিল্লা জেলার সাংবাদিকতার উদ্ভব ও বিকাশের ইতিহাস, ওগো বঙ্গবন্ধু, সাগর তীরে কেওড়াবনে, পীর মুর্শিদের বাংলাদেশসহ বেশ কয়েকটি বই লিখেছেন। সত্তরের দশকে তিনি উত্তরদা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সাংবাদিকতার পাশাপাশি তিনি শিশু সংগঠন কচিকাঁচার মেলা, খেলাঘর ও সুজন মজলিশের আঞ্চলিক সংগঠক হিসেব ভূমিকা রেখেছেন। ১৯৫৮ সালে তাঁর প্রতিষ্ঠিত ‘লাকসাম লেখক সংঘ’র মাধ্যমে তিনি সৃজনশীল লেখক, সাহিত্যিক ও সাংবাদিক তৈরির প্রচেষ্টা চালান।