॥রাহুল বড়–য়া ছোটন, বান্দরবান॥ জ্ঞানের সমুদ্রে পাড়ি জমাবে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপির স্বপ্নের বান্দরবান বিশ^বিদ্যালয় ও বান্দরবানবাসীর স্বপ্নের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়ের শুভ উদ্ভোধন হতে যাচ্ছে আজ। সকাল সাড়ে ১০টায় বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও ফলক উন্মোচনের মাধ্যমেবান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হবে।
আর এ উপলক্ষ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শুভ উদ্বোধন করবেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি।
এসময় উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে ওরিয়েন্টেশন বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে বাংলাদেশ বিশ^বিদ্যালয় মনঞ্জুরী কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড.এম শাহ নওয়াজ আলী। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছেপার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ নুরুল আমিন, রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. প্রদানেন্দু বিকাশ চাকমা, পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্ট এর কো-চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা, বান্দরবানের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দাউদুল ইসলাম,বান্দরবান সেনা রিজিয়নের ভারপ্রাপ্ত রিজিয়ন কমান্ডার লেঃ কর্ণেল এস এম আব্দুল্লাহ আল-আমিন পিএসসি, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকির হোসেন মজুমদার, পৌর মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম বেবী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করার কথা রয়েছেন বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এইচ এম জেহাদুল করীম।
মন্ত্রণালয় ও ইউজিসি সূত্র জানায়, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোক্তা হিসেবে রয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি। তবে তার সঙ্গে স্থানীয় কয়েকজন ব্যবসায়ী রয়েছেন বলে জানা গেছে।
মন্ত্রণালয় সূত্র আরও জানায়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০ এর ৩৬ ধারা অনুযায়ী শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার প্রতিশুরুতিতে একই আইনের ৭ এর ১ ও ২ ধারা অনুযায়ী ২৩টি শর্তে সাময়িকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় দুটির অনুমোদন দেয়া হয়। এর মধ্যে আছে, প্রস্তাবিত বিশ্ব বিদ্যালয়ের কমপক্ষে ২৫ হাজার বর্গফুট আয়তনের নিজস্ব বা ভাড়া করা ভবন, কমপক্ষে তিনটি অনুষদ ও ছয়টি বিভাগ, পর্যাপ্ত শ্রেণিকক্ষ, লাইব্রেরি, ল্যাবরেটরি, শিক্ষার্থীদের জন্য কমন রুম, সেমিনার কক্ষসহ পর্যাপ্ত অবকাঠামো থাকতে হবে। পূর্বানুমোদন ছাড়া বিভাগ খোলা যাবে না। বিভাগে শর্ত অনুযায়ী নির্দিষ্টসংখ্যক পূর্ণকালীন শিক্ষক থাকতে হবে। আচার্যের (রাষ্ট্রপতি) পূর্ব অনুমোদন ছাড়া বিদেশ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য তহবিল সংগ্রহ করা যাবে না। আরোপিত শর্তগুলোর ওপর ৩০০ টাকার ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে অঙ্গীকারনামা দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে গত বছরের ২৯ মার্চ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিবের কাছে চিঠি পাঠানো হয়। এর প্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিয়েছে।