শ্যামল নাথ,হাটহাজারী(চট্টগ্রাম)প্রতিনিধি :: দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে মা মাছ ডিমের সামান্য নমুনা ছেড়েছে। গতকাল শনিবার দুপুরের দিকে নদীতে ডিমের নমুনা পাওয়া যায়। গত শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে বজ্রসহ প্রবল বর্ষণের ফলে হালদা নদীর সাথে সংযুক্ত বিভিন্ন খাল ও ছরাতে পাহাড়ী ঢল সৃষ্টি হয়েছে। ঢলের পানি হালদা নদীতে গিয়ে ঢলের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। তাছাড়া অষ্টমী তিথির জো ও চলছে। এসময়টি ডিম ছাড়ার উপযোগী বলে ডিম আহরণকারীরা জানান। শনিবার দুপুরে হালদা নদীর আমতুয়া, আজিমারঘাট, নাপিতেরঘাট,কুমারখালী ও রামদাশ মুন্সিরহাট প্রভৃতি এলাকায় মা মাছ সামান্য ডিমের নমুনা ছেড়েছে। নদীতে ডিমের নমুনা দেখা দিলে ডিম সংগ্রহকারীরা ডিম আহরণের সরঞ্জাম নিয়ে নদীতে নেমে পড়ে। ডিম আহরণকারীরা ধারণা করছিল অষ্টমী তিথির জো ও বজ্রসহ প্রবল বর্ষণে ফলে সৃষ্টি পাহাড়ী ঢলের প্রকোপে নদীতে মা মাছ ডিম ছাড়তে পারে। নমুনা দেখা দেওয়ার পর ডিম আহরণকারীরা ডিম ছাড়ার প্রত্যাশায় নদীতে অপেক্ষা করছেন। এতে করে হালদা পাড়ে উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। হালদা গবেষক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণী বিদ্যাবিভাগের অধ্যাপক ড.মঞ্জুরুল কিবরিয়া জানান, হালদা নদীতে মা মাছ নগন্য পরিমান ডিমের নমুনা দিয়েছে। গত ৫ মে ও নদীতে মা মাছ সামান্য ডিমের নমুনা দিয়ে ছিল। এসময়টা মা মাছের ডিম ছাড়ার উপযোগী। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় বজ্রসহ প্রবল বর্ষণ হওয়ায় নদীতে ঢলের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। মা মাছের ডিম ছাড়ার জন্য বজ্রসহ বর্ষণ ও ঢল উপযোগী। তিনি রাতে মা মাছ ডিম ছাড়তে পারে বলে আশাবাদী। ইউএনও মোহাম্মদ রুহুল আমীন জানান, তিনি সকাল থেকে হালদা নদীর বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেছেন। নদীতে মা মাছ সামান্য ডিমের নমুনা দিয়েছে। নমুনা দেখে ডিম আহরণকারীরা ডিম সংগ্রহের সরঞ্জাম নিয়ে নদীতে অপেক্ষা করছেন।