সরকারের তথ্য কমিশনার সুরাইয়া বেগম, এনডিসি বলেছেন- জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে তাঁর নির্বাচনী ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণসহ অনেকগুলো উন্নয়নের কথা তুলে ধরেছেন। ২০০৯ সালে তিনি ক্ষমতায় আসার পর তথ্য অধিকার আইন,২০০৯ প্রনীত হয়। তথ্যের অবাধ প্রবাহ ও জনগণের তথ্যের অধিকার নিশ্চিতকরণে এই আইন করা হয়েছে। এ আইন বাস্তবায়নের মাধ্যমে জনগনের ক্ষমতায়নের পথ সুগম হয়েছে। সকল নাগরিকের তথ্য চাওয়ার অধিকার আছে। কিন্তু যা ইচ্ছে তা করা যাবেনা। জনগণের তথ্য অধিকার নিশ্চিত করা গেলে সরকারী, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা ও বেসরকারী সংস্থাগুলোতে স্বচ্ছতা ও জবাŸদিহিতা বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি দুর্নীতি হ্রাস পাবে ও দেশে সুশাসন প্রতিষ্টিত হবে। সরকারের নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে। তথ্য অধিকার আইন আছে তা জনগনকে জানাতে হবে। সরকারের মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ থেকে বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে তথ্য অধিকার আইন বাস্তবায়নে কমিটি করে দেয়া হয়েছে। সেখানে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জনগনের চাহিদামত তথ্য আদান-প্রদান করছে কি না তা কমিটির প্রধানগনকে নিয়মিত মনিটরিং করতে হবে। তাহলে এ আইন আরো বেশি কার্যকর হবে। জনগনের চাহিদামত তথ্য প্রদানে গড়িমসি করলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে জবাবদিহিতার আওতায় আসতে হবে। আবার যে সব তথ্য প্রদান করলে রাষ্ট্র / সরকারের জন্য ক্ষতিকর বা হুমকি হবে সে সব তথ্য দেয়া যাবেনা। জনগণকে কোন্ কোন্ ধরনের তথ্য দেয়া যাবেনা বা কেন দেয়া যাবেনা তা কারণসহ জানিয়ে দেবেন ঐ কর্মকর্তা। জনগণ যাতে আইনটি সম্পর্কে জানে সে জন্য প্রচার-প্রচারনা ও সচেনতার বিকল্প নেই। তথ্য অধিকার আইন বাস্তবায়নে গনমাধ্যমের প্রতিনিধিদের ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। অনুমোদনহীন কিছু কিছু নাম সর্বস্ব অনলাইন ও পত্রিকায় ভূয়া সংবাদ বা তথ্য প্রচার করে থাকে। ফেসবুক, ইউটিউব ও অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালানো হয়। তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে। আজ ২০ জুন ২০১৯ ইং বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে তথ্য অধিকার আইন বাস্তবায়নে অবেক্ষণ ( সুপারভিশন) ও পরিবীক্ষণ বিষয়ে বিভাগীয় ও জেলা কমিটির সদস্যদের সাথে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার অফিস সভার আয়োজন করেন।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্টিত সভায় তথ্য অধিকার আইন,২০০৯ বিষয়ে মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে উপস্থাপন করেন তথ্য কমিশনের পরিচালক ড. মোঃ আবদুল হাকিম ও প্রেগ্রামার তরিকুল ইসলাম। তথ্য অধিকার আইন বিষয়ে বক্তব্য রাখেন বিভাগীয় পরিচালক (স্থানীয় সরকার) দীপক চক্রবর্তী, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোঃ নুরুল আলম নিজামী, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ আবুল ফয়েজ, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন (চট্টগ্রাম), মোঃআবুল ফজল মীর (কুমিল্লা), তন্ময় দাস (নোয়াখালী), মোঃ মাজেদুর রহমান (চাঁদপুর), মোহাম্মদ দাউদুল ইসলাম (বান্দরবান), অঞ্জন চন্দ্র পাল (লক্ষীপুর), মো: কামাল হোসেন (কক্সবাজার), মোঃ শহিদুল ইসলাম (খাগড়াছড়ি), মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান (ফেনী), হায়াত-উদ-দৌলা খান (ব্রাহ্মণবাড়ীয়া), বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ) ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির, চট্টগ্রাম কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো: আবুল হাসান, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপ-পরিচালক ড. গাজী গোলাম মওলা, বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোমেনা আক্তার, ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সায়েদুল আরেফিন, একুশে পত্রিকার সম্পাদক আজাদ তালুকদার, চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ প্রমুখ। সভায় সরকারের বিভিন্নস্তরে কর্মরত কর্মকর্তা, বেসরকারী প্রতিষ্টানের প্রতিনিধিগণ, গণমাধ্যমকর্মী, এনজিও প্রতিনিধি ও বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন। শেষে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নানের সাথে বিভাগের জেলা প্রশাসকবৃন্দের ২০১৯-২০ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্টিত হয়।