চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন আগামী ২৩ জুন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭০ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনোপলক্ষে মহানগর আওয়ামী লীগের রূপরেখা তুরে ধরে বলেন, ঐ দিন বেলা আড়াইটায় নগরীর ইঞ্জিনিয়ারর্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে সুধী সমাবেশ সফল করে দলীয় ঐক্যের ভি্িততকে প্রচারিত করার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। তিনি জানান যে, ঐ দিন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য ও সাবেক এস.পি তোফায়েল আহমেদ এম.পি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী তাঁকে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে উপস্থিত থাকতে হবে বিধায় সেদিন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর কর্মসূচীতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এম.পি প্রধান অতিথির আসন অলঙ্কৃত করবেন। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন তথ্য মন্ত্রী হাছান মাহমুদ এম.পি, ভূমি মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এম.পি শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এম.পি।তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বে বাংলাদেশের মর্যাদাকে হিমালয়সম উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছেন। আন্তর্জাতিক ফোরামে তাঁকে নিয়ে আলোচনা, সেমিনার ও গবেষণা হচ্ছে। কিন্তু আমরা দেশের জনগণের কাছৈ শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশে অভূতপূর্ব অর্জনের প্রতিফলন ঘটাতে পারিনি। এই বাস্তবতাকে স্বীকার করে আমাদেরকে বাংলাদেশের অর্জনগুলো পৌঁছে দিয়ে জনসম্পৃক্ততা আরো নিবিড় করতে হবে। তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, এখন থেকে জাতীয় দিবস এবং দলীয় কর্মসূচীগুলো ইউনিট, ওয়ার্ড ও শাখা ভিত্তিক পালন করতে হবে। এর ফলে স্থানীয় নেতৃত্ব বিকশিত হবে এবং জনগণের সাথে যোগাযোগ বাড়বে। তিনি আরো বলেন, আগামী অক্টোবর মাসে বাংলাদেশের জাতয়ি সম্মেলনের আগে কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী সম্মেলন করতে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ প্রস্তুত। আমরা ইতোমধ্যেই প্রতিটি ওয়ার্ডে সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রম সফলতার সাথে সম্পন্ন করেছি। এছাড়া কেন্দ্র থেকে লিখিত নির্দেশ পাওয়ামাত্র ইউটি, ওয়ার্ড ও থানা পর্যায়ে সম্মেলন করে নতুন কমিটি গঠনের জন্যও প্রস্তুতি রয়েছে। তিনি দলে অনুপ্রবেশকারী ও সুবিধভোগীদের সমালোচনা করে বলেন, সম্মেলনে এল মৌ-লোভী কিছু ব্যক্তি পদ-পদবীর জন্যে মরিয়া হয়ে ওঠেন। অথচ এরা দলের দুর্দিনে ছিলেন না। ক্ষমতার রীতি-নীতি ও শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে পদ দখল করতে চায়। আমি বেচে থাকতে এই সব সুযোগ সন্ধানীদের অর্থ ও বাহুবলে পদে বসাবো না। আমি তাদেরকে দল থেকে বিতাড়িত করার জন্য তৃণমূলস্তরের নেতাকর্মীদের আহ্বান জানাই। সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, যারা পরীক্ষিত ও ত্যাগী নেতা-কর্মী তাঁরা দলের সম্পদ। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ তাঁদের সাথে নিয়ে দলের ঐক্যকে সুদ–ঢ় করতে চায়। আমরা সুবিধাভোগী সুযোগসন্ধানী পরাগাছাদের চুল পরিমাণ ছাড় দিতে রাজী নই। তিনি আগামী ২৩ জুন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭০ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে মহানগর আওয়ামী লীগের কর্মসূচিতে প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করে মিছিল নিয়ে যোগদানের আহ্বান জানান। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দলের পদবীধারী কেউ কেউ নেতৃত্বের সমালোচনা করেন। সারা বছর নিষ্ক্রিয় থেকে সম্মেলন এনে নিজেকে ধোয়া-তুলসী পাতা হিসেবে জাহির করেন। অথচ এরা দলয় কর্মী বিচ্ছিন্ন কিন্তু বিভেদ সৃষ্টিতে ওস্তাদ। এই ওস্তাদী বরদাস্তকরা হবে না। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার প্রকাশনা সম্পাদক আলহাজ্ব শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত বর্ধিত সভার শুরুতে কোতোয়ালী থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব জাগির উদ্দিন সর্দ্দার, উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মান্নান চৌধুরী, পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সাইফুল ইসলাম এবং মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনাজীর স্বামীর মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব গ্রহণ করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। বর্ধিত সভায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী রীগের সহ সভাপতি আলহাজ্ব নঈম উদ্দিন চৌধুরী, এডভোকেট সুনীল কুমার সরকার, এডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, সিডিএ চেয়ারম্যান এম জহিরুল ইসলাম দোভাষ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম চৌধুরী, আলহাজ্ব বদিউল আলম, এম এ রশীদ, চট্টগ্রাম মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসিনা মহিউদ্দিন, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, হাসান মাহমুদ শমসের, এডভোকেট ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চন্দন ধর, মশিউর রহমান চৌধুরী, আহমেদুর রহমান সিদ্দিকী, হাজী মোহাম্মদ হোসেন, হাজী জহুর আহমদ, মাহবুবুল হক মিয়া, ইঞ্জিনিয়ার মানস রক্ষিত, আবদুল আহাদ, জোবয়েরা নার্গিস খান, ডা: ফয়সাল ইকবাল চৌধুরী, মোহাম্মদ শহীদুল আলমসহ কার্যনির্বাহী কমিটি সদস্য উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য, ১৫ থানা ও ৪৩ সাংগঠনিক ওয়ার্ডের এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, আহ্বায়ক যুগ্ম আহ্বায়কগণ উপস্থিত ছিলেন।