খবর বিবিসির :: মার্কিন ড্রোন হামলায় ইরানের শীর্ষস্থানীয় জেনারেল কাসেম সোলেমানি নিহত হওয়ার পর ইরানের বদলা নেওয়ার অঙ্গীকারের জবাবে এ হুঁশিয়ারি দিলেন ট্রাম্প।
এই জেনারেলের মৃত্যুর প্রতিক্রিয়ায় ‘নির্দিষ্ট মার্কিন সম্পদে হামলা চালানোর বিষয়ে ইরান খুব নির্ভয়ে কথা বলছে’ বলে এক টুইটে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
তিনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ৫২টি লক্ষ্যস্থল নির্ধারণ করেছে, এগুলোর মধ্যে কিছু ইরান ও ইরানের সংস্কৃতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও উঁচু স্তরের আর ওই লক্ষ্যস্থলগুলোতে ও ইরানে খুব দ্রুত ও অত্যন্ত কঠিন আঘাত হানা হবে।”
‘যুক্তরাষ্ট্র আর কোনো হুমকি প্রত্যাশ্যা করে না’ বলেও মন্তব্য করেছেন ট্রাম্প।
ইরানের ওই ৫২ লক্ষ্যস্থল ১৯৭৯ সালে তেহরানের মার্কিন দূতাবাস দখল করে নেওয়ার পর পরবর্তী এক বছর ধরে যে ৫২ মার্কিন নাগরিককে জিম্মি করে রাখা হয়েছিল তাদের প্রতিনিধিত্ব করছে বলে জানান তিনি।
ট্রাম্পের এই টুইটের কিছুক্ষণ পরই যুক্তরাষ্ট্রের একটি সরকারি ওয়েবসাইট হ্যাক হয়। নিজেদের ‘ইরান সাইবার সিকিউরিটি গ্রুপ হ্যাকার্স’ বলে পরিচয় দেওয়া এক গোষ্ঠী ওই ওয়েবসাইট হ্যাক করার দাবি করেছে।
আমেরিকান ফেডারেল ডিপোসিটোরি লাইব্রেরি প্রোগ্রামের সাইটে পাঠানো বার্তায় লেখা ছিল, “এটি ইসলামিক রিপাবলিক অব ইরানের বার্তা।
“এই অঞ্চলে আমাদের বন্ধুদের সমর্থন দেওয়া বন্ধ করবো না আমরা: ফিলিস্তিনের নিপীড়িত জনতা, ইয়েমেনের নিপীড়িত জনতা, সিরিয়ার জনতা ও সরকার, ইরাকের জনতা ও সরকার, বাহরাইনের নিপীড়িত জনতা, লেবানন ও ফিলিস্তিনের প্রকৃত মুজাহিদিন প্রতিরোধ, সবসময় আমাদের সমর্থন পাবে।”
ওয়েবপেইজটিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের একটি বিকৃত ছবিও দেওয়া হয়েছে, তাতে ট্রাম্পকে মুখমণ্ডলে আঘাতপ্রাপ্ত অবস্থায় দেখানো হয়েছে যেখানে তার মুখ থেকে রক্তপাত হচ্ছে।