॥ শামীম ইকবাল চৌধুরী, নাইক্ষ্যংছড়ি ॥ নাইক্ষ্যংছড়ি সদর উপজেলার হাট বাজারে এক মাংস ব্যবসায়ী একটি গর্ভবতী গাভী জবাই করে মাংস বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) ভোর সকালে এ ঘটনাটি ঘটেছে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সদরের হাটবাজারে।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, নাইক্ষ্যংছড়ি সদরের হাটবাজারে কসাইদের সেন্ডিকেটে দীর্ঘদিন ধরে মোঃ সেলিম গরু ও মহিষ জবাই করে মাংস বিক্রি করে আসছিল। মঙ্গলবার ভোর সকালে প্রতিদিনের মতো কসাই সেলিম গরু জবাই করে। এ সময় গরুর পেটে বাচ্চা দেখতে পায়। স্থানীয় লোকজন এ ঘটনা দেখে ফেলে। পরে কসাইরা এ ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার জন্য বাচ্চা বস্তা ভর্তি করে অন্যত্র সরিয়ে ফেলার চেষ্টা করলে উপজেলা নির্বাহী (ম্যাজিস্ট্রেট) অফিসারকে অন্য কয়েকজন ব্যবসায়ীরা খবর দেয়। নির্বাহী (ম্যাজিস্ট্রেট) অফিসার তাৎক্ষনিক পুলিশের সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে কসাই সেলিম গর্ভবতী গাভীর মাংস বিক্রয় করার অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে কসাই সেলিমকে ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড এবং অনাদায়ে ১ বছর বিনাশ্রম কারাদন্ড ভোগ করার নির্দেশ প্রদান করা হয়।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, গরু, মহিষ ও ছাগলের মাংস মনগড়া মূল্যে বিক্রি করে আসচ্ছে একটি কসাই সেন্ডিকেট। প্রশাসনের তালিকাভূক্ত নির্ধারিত কসাই পরিচয় পাওয়া যাচ্ছে না। তাদের কোন পরিচয়পত্র (আইডি কার্ড) দেয়া হচ্ছে না প্রশাসনের পক্ষ থেকে। প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের কোন প্রতিনিধি তদারকিতে দেখা যাচ্ছে না। মূল্য তালিকা টাঙ্গানোর নির্দেশ থাকলেও তা মানা হচ্ছেনা। প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে বলে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অভিযোগ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া আফরিন কচি জানান, নাইক্ষ্যংছড়ি থানার এস আই মোঃ জাফর ইকবাল ও স্থানীয় ইউপি সদস্য এর গোপন সূত্র ধরে এ অভিযান চালানো হয়। এ সময় মাংস ব্যবসায়ী মোঃ সেলিমকে আইনের ২৯১ ধারায় ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড, অনাদায়ে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। তিনি আরো জানান, এই ধরনের অভিযান সব সময় অব্যাহত থাকবে।
ভোক্তাদের অধিকার সংরক্ষণে উপজেলা প্রশাসনের এমন অভিযানকে স্বাগত জানায় বাজার ব্যবসায়ী ও স্থানীরা।