বঙ্গবন্ধু’র জন্মশতবর্ষের ক্ষণগণনা উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশে ফিরে বিজয়ের যে ‘আলোকবর্তিকা’ তুলে দিয়েছেন, তা নিয়েই পথচলার কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যে বিজয়ের আলোকবর্তিতা তিনি আমাদের হাতে তুলে দিয়েছেন, সে মশাল নিয়েই আমরা আগামী দিনে চলতে চাই। বাংলাদেশকে আমরা জাতির পিতার স্বপ্নে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হিসাবে গড়তে চাই।”
শুক্রবার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দরে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর ক্ষণগণনার সূচনা অনুষ্ঠানে তিনি এ প্রত্যয়ের কথা তুলে ধরেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবাষির্কী উপলক্ষে বছরব্যাপী মুজিব বর্ষ উদযাপনের জন্য আজ ক্ষণগণনার উদ্বোধন করেছেন। পাকিস্তানের বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়ে বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালের এই দিনে দেশে ফিরে আসেন।
প্রধানমন্ত্রী নগরীর পুরাতন বিমান বন্দরে আয়োজিত এক বণার্ঢ্য অনুষ্ঠানে মুহূর্তটিকে বঙ্গবন্ধু’র ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস হিসাবে উৎসর্গ করে বলেন, ‘আমি ক্ষণগণনার শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করছি।’ বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের বন্দিদশা থেকে মুক্ত হয়ে তাঁর স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে প্রথম পা রাখেন এই স্থানেই।
শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশের জনগণ জাতির পিতার স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলাদেশকে বিশ্বে মযার্দার আসনে অধিষ্ঠিত করবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের হাতে বিজয়ের মশাল তুলে দিয়েছেন, আমরা এখন এই বিজয় নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে চাই।
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানের দখলদারিত্ব থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন হবার কয়েক সপ্তাহ পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ব্রিটিশ রাজকীয় এয়ার ফোর্সের একটি বিমানে করে লন্ডন থেকে নয়াদিল্লী হয়ে দেশে ফিরে তেজগাঁওয়ে ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণ করেন।
৪৮ বছর আগের এই দিনে জাতির জনকের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ঘটনাপ্রবাহের প্রতীকী মঞ্চায়ন করা হয় ক্ষণ গণনার শুরুর আয়োজনে।
আয়োজকদের ধন্যবাদ দিয়ে ১৯৭২ সালের সেই দিনের ফিরে ঘটনাপ্রবাহে ফিরে যান বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, “সেদিনটিতে আমরা হয়ত বিমানবন্দরে আসতে পারিনি, তখন আমার বাচ্চাটি ছোট ছিল, আমরা এমন অবস্থায় ছিলাম।
“কিন্তু আমার মনে পড়ে মা সর্বক্ষণ একটি রেডিও নিয়ে বসেছিলেন, ধারাবাহিক বিবরণ শুনছিলেন, আমরা পাশে বসে সারাক্ষণ ধারা বিবরণী শুনেছিলাম।”
জনগণের প্রতি বাবার গভীর ভালোবাসার কথা তুলে ধরে বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা বলেন, “আমার মনে পড়ে, তিনি কিন্তু বাংলার মাটিতে নেমে আমাদের কথা ভাবেননি, পরিবারের কথা ভাবেননি। তিনি চলে গিয়েছিলেন রেসকোর্স ময়দানে তার প্রিয় জনগণের কাছে, তার প্রিয় মানুষগুলির কাছেই তিনি সর্বপ্রথম পৌঁছে যান। তারপর আমরা তাকে পাই।
“তিনি এদেশের মানুষকে গভীরভাবে ভালোবেসেছেন। চেয়েছিলেন এ দেশের মানুষ সুন্দর জীবন পাবে।”
এই প্রেক্ষাপটে কবিগুরুর ’বঙ্গমাতা’ কবিতার প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, “রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন ’সাত কোটি সন্তানেরে, হে মুগ্ধ জননী, রেখেছ বাঙালি করে, মানুষ করনি’। তারই উত্তর (বঙ্গবন্ধু) দিয়েছিলেন এই ১০ই জানুয়ারি রেসকোর্স ময়দানে।
”জাতির পিতা বলেছিলেন, কবি গুরু দেখে যান আপনার সাত কোটি মানুষ আজ মানুষ হয়েছে, তারা যুদ্ধে বিজয় অর্জন করেছে।”
বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের মাথা উঁচু করে সম্মানের সঙ্গে চলার প্রত্যয় জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “মাঝখানে একটা কালো অধ্যায় আমার জীবন থেকে চলে গেছে, সেই কালো অধ্যায় যেন আর কোনো দিন আমাদের দেশের মানুষের উপর ছায়া ফেলতে না পারে।
”আমাদের দেশের মানুষ যেন জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলে এই বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করতে পারে, সেই কামনা করে ক্ষণগণনার শুভ সূচনা ঘোষণা করছি।”
বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, “চলুন আজকের দিনে আমরা সেই প্রত্যয় নিই যে, এই বাংলাদেশ কারও কাছে মাথা নত করে না, বাংলাদেশ এবং বাঙালি জাতি মাথা উঁচু করে বিশ্বে চলবে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন সেই সোনার বাংলা ইনশাআল্লাহ আমরা গড়ে তুলব।”

দারুল আরকাম প্রকল্পের মাধ্যমে উন্নত জাতি গঠনে কাজ করছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন ——বোরহান উদ্দিন উন্নয়নমূখী পার্বত্য চট্টগ্রাম গড়তে হলে প্রশিক্ষণের প্রকৃত জ্ঞানকে কাজে লাগাতে হবে —-এ কে এম মকছুদ আহমেদ প্রশিক্ষণের জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে আপনারা শিক্ষার্থীদের প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলবেন ——মুহাম্মদ ইকবাল বাহার চৌধুরী

Archive Calendar
Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031