চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার এ বি এম আজাদ বলেছেন, জন্মসূত্রে বাংলাদেশী হিসেবে বাংলাভাষা শিখছি। আমাদের অফিস–আদালতে, স্কুল–কলেজে বাংলা ভাষাকে অগ্রাধিকার দিয়ে ব্যবহার করতে হবে।
বিভাগীয় কমিশনার আজ জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
আলোচনা সভায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন এর সভাপতিত্বে প্রধান আলোচক ছিলেন প্রাবন্ধিক আবুল মোমেন। এছাড়াও অনুষ্ঠানে রেঞ্জ ডিআইজি খন্দোকার গোলাম ফারুক, সিএমপি কমিশনার মো. মাহাবুবুর রহমান, পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. শাহাবুদ্ধিন আহম্মেদ, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. মোজাফফর হোসেন বক্তব্য রাখেন।
দিবসটি যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভির্যের সাথে উদ্যাপন উপলক্ষে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন নানা কর্মসূচি পালন করেছে। শহিদ দিবসের প্রথম প্রহরে ১২ টা ১ মিনিটে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণ করেছে জেলা ও বিভাগীয় প্রশাসন। এর পর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. রেজাউল করিম চৌধুরীসহ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এর কাউন্সিলর, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর, আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন । এসময় জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্ত–কর্মচারীগণও পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এছাড়াও সকাল ১০ টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে শুদ্ধ বানান, শুন্দর হাতের লেখা ও কুইজ প্রতিযোগিতা, সকাল ১১টায় জেলা শিশু একাডেমিতে হাতের সুন্দর লেখা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। বিকাল ৫টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে স্মৃতিচারণ, আলোচনাসভা, কবিতা আবৃত্তি, পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এর আয়োজন করা হয়েছে।
এছাড়াও রয়েছে শহীদ মিনার প্রাঙ্গন ও আউটার স্টেডিয়ামে ভাষা আন্দোলন সংশ্লিষ্ট সংবাদ, আলোকচিত্র ও ভিডিও প্রদর্শনী। শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনায় ধর্মীয় উপাসনালয়ে দোয়া, মোনাজাত ও প্রার্থনা করা হয়।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ভাষা আন্দোলনের পথ ধরেই বাংলাদেশে স্বাধীনতা অর্জণ সম্বব হয়েছে। ভাষা আন্দোলনে ভাষার জন্যই নয়, বাংলা সংস্কৃতির জন্যও যুদ্ধ করা হয়েছে। মনীষীরা বাংলা মাধ্যমের স্কুলে পড়েই ইংরেজি শিখেছেন। দেশ বরেণ্য হয়েছেন। তিনি বলেন, বিশ্বমানের নাগরিক হতে হলে বাংলা ও ইংরেজি জানতে হবে। অন্য ভাষা শিখতে হবে, তবে নিজের ভাষাকে অশ্রদ্ধা করে নয়। নিজ ভাষা অশ্রদ্ধা করলে তারা উন্নত জাতি হতে পারে না।