জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটি চট্টগ্রাম মহানগরের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ভাষার মর্যাদা রক্ষায় মানবাধিকার সংগঠকদের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা সভা, সংবর্ধনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সংগঠনের সভাপতি হাসান মুরাদের সভাপতিত্বে গত ২২ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যা ৭টায় নগরীর একটি রেষ্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী। প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য হাসিনা জাফর। সাংগঠনিক সম্পাদক সুরেশ দাশের পরিচালনায় এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য আলহাজ্ব সৈয়দ মাহমুদুল হক, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের ডেপুটি গর্ভণর লায়ন আমিনুল হক বাবু, জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটি চট্টগ্রাম মহানগরের সহ-সভাপতি জসিম উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক স.ম জিয়াউর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক লায়ন এম.এ নেওয়াজ, মুক্তিযোদ্ধা এস.এম লিয়াকত হোসেন, শফিকুর রহমান, সৈয়দ আহম্মদ, শ্রমিক নেতা কালিম শেখ, মাসুমা কামাল আখি, সোমিয়া সালাম, মাসুদুর রহমান, রুমি আক্তার প্রমুখ। সভায় প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন বায়ান্নের ভাষা আন্দোলনের সিঁড়ি বেয়ে মহান স্বাধীনতা পথ সুগম হয়েছিল। আর এ স্বাধীনতা অর্জন সম্ভব হয়েছে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি পৃথিবীর অন্যতম সেরা সংগঠক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য নেতৃত্বে। বঙ্গবন্ধু এমন এক নেতা যার অসাধারণ নেতৃত্ব গুণাবলী, সাহসি জাগরণ ও ঐক্যের দৃঢ় ইস্পাতে সেদিন সমগ্র বাঙালিকে ঐক্যবদ্ধ করে মহান স্বাধীনতা অর্জন করেছিলেন। তিনি বলেন ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারী ভাষার জন্য জীবন বিসর্জনকারী শহীদ রফিক, সালাম, বরকত, শফিউলদের আত্মত্যাগ ও দেশপ্রেমের ইতিহাস আজও আমাদেরকে উত্তরণের পথ দেখায়। ভাষা শহীদদের অমর ত্যাগের প্রেরণার সুতিকাগাঁথর হিসেবে এদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন বেগবান হয়েছিল। তিনি আরো বলেন বাংলা ভাষার সঠিক ও শুদ্ধ লিখন এবং এর চর্চায় মানবাধিকার সংগঠকরা সোচ্চার ভূমিকা পালন করতে পারে। কেননা মানবাধিকার সংগঠকরাই দেশ ও জাতির কল্যাণ এবং নানান রকম সংকট মোকাবেলায় সব সময় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। সভা শেষে মানবাধিকার আন্দোলনে কাজ করার জন্য কয়েকজন মানবাধিকার কর্মীকে সম্মাননা স্মারক তুলেদেন প্রধান অতিথি।