ময়লা অবর্জনা ভরা থানচির পর্যটন কেন্দ্রের প্রাকৃতিক পরিবেশ হুমকির মুখে

॥ মংবোওয়াংচিং মারমা (অনুপম) থানচি ॥ বান্দরবানে থানচিতে পর্যটন কেন্দ্র (স্পট) গুলিতে যেখানে সেখানে ময়লা অবর্জনা ফেলে দুষিত হচ্ছে প্রকৃতি পরিবেশ। পর্যটন স্পট নাফাখুঁম, আমিয়াখুঁম, বেলাখুঁম, সাতভাইখুঁম,রেমাক্রীমূখে পাথরসিঁড়ি, ১০/১২টি স্থানে উপভোগের ভ্রমনকারী পর্যটক ও স্থানীয়রা যেখানে সেখানে পলিথিন, প্লাষ্টিকের বোতল,
চিপসপ্যাকেট যত্রতত্রভাবে ফেলে প্রাকৃতি পরিবেশকে মারাত্বকভাবে বিনষ্ট করা হচ্ছে। এসব ফেলার জন্য সরকারি বেসরকারিভাবে ঘরে উঠেনি ডাষ্টবিন বা কোন জাতীয় উদ্যোগ। উপজেলায় পর্যটকদের জন্য তথ্য সেবা কেন্দ্র দিয়ে প্রতিটি পর্যটকদের হতে ১০০ টাকা হারে ফরম বিক্রি করে গত ১০ বছরে হাজার হাজার টাকা আয় হলেও পর্যটন শিল্প বিকাশে স্পটগুলিতে কোন প্রকার বিশ্রামগার তৈরী করতে দেখা যায়নি।
স্বাধীনতা পরবর্তীতে পার্বত্য অঞ্চলে পর্যটন বিকাশে কোন উদ্যোগ নেয়া না হলেও ১৯৯৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামে বিরাজমান রাজনৈতিক সমস্যা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধান বর্তমান প্রধান মন্ত্রী স্বদিচ্ছায় শান্তির চুক্তি মধ্য দিয়ে সমাধানের পর এ অঞ্চলের সকল সম্প্রদায় পর্যটন বিকাশের কাজ করে যাচ্ছে এবং পর্যটন স্পট গুলিতে ভ্রমন ও উপভোগ করার দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বান্দরবানে থানচি উপজেলা ১০/১২টি পর্যটন স্পটে হাজার হাজার পর্যটক ভ্রমনে সুযোগ পেয়েছে।
সরেজমিনে ঘুরে পর্যটন স্পট রেমাক্রীখালমূখ পাথরসিঁড়িতে ভ্রাম্যমান দোকান ব্যবসায়ী উশৈমং মারমা, হ্লায়ইসিং মারমা, আরও অনেকে সাথে কথা হলে বলেন,পর্যটক ও স্থানীয়রা ব্যাগভর্তি পলিটিন, প্লাষ্টিকের বোটল, চিপসপ্যাকেট ইত্যাদি নানানভাবে নিয়ে আসে এবং খাওয়ার পর যেখানে সেখানে ফেলে দেয়। আমরা না ফেলার জন্য বললেও কর্নপাঠ করেন না । রাতে বেলা যেখানে সেখানে মলমুত্র ত্যাগ করার সব চেয়ে খারাপ লাগে।
পর্যটন তথ্য কেন্দ্রে নিয়োজিত জয়নাল হোসেন (ননা) বলেন, পর্যটকদের ফরম বিক্রি করে মৌসুমে সময় দিনে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়েছে, স্বাভাবিক অবস্থা সময় ৫/১০ হাজার টাকা আয় হয়। সব টাকা প্রশাসন হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে।
যোগাযোগ করা হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আরিফুল হক মৃদুল বলেন, প্রশাসনিকভাবে রেমাক্রী ও নাফাখুঁম পর্যন্ত ভ্রমনে অনুমোদন রয়েছে তবে আমাদের অজান্তে বেলাখুঁম, সাতভাইখুঁম, আমিয়াখুঁম পর্যন্ত চলে যাচ্ছে। দুর্গমতা কারনে এ সব এলাকায় নিয়ন্ত্রণ বা নজর দেয়ার সম্ভব হয়নি। তবে সরকার পর্যটন শিল্প বিকাশে কাজ করেই যাচ্ছে ।

রাঙ্গামাটিতে আলহাজ্ব এ কে এম মকছুদ আহমেদের সাংবাদিকতায় ৫৫ বছর পূর্তিতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সম্মাননা স্মারক প্রদান : একজন গুণি ব্যক্তিকে যথাযথ সম্মাননা জানানো সবার দায়িত্ব ও কর্তব্য —মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান সবার দোয়া আর আল্লাহর অশেষ রহমত না হলে ৫৫ বছর পুরণ করতে পারতাম না—এ কে এম মকছুদ আহমেদ

Archive Calendar
Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
29