॥ মুহাম্মদ জুবাইর, টেকনাফ ॥ কক্সবাজার টেকনাফে র্যাব-বিজিবির সাথে পৃথক “গুলাগুলিতে” ৮ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে র্যাবের সাথে পাল্টাপািল্ট গুলাগুলিতে পাহাড়ে অবস্থানরত স্বশস্ত্র ৭ রোহিঙ্গা ডাকাত আর বিজিবি’র সাথে ‘গুলাগুলিতে’ এক মাদকপাচারকারী নিহত হয়েছে।
সোমবার (২ মার্চ) গভীর রাত থেকে হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুড়া-নয়াপাড়া ২৬ নং ও ২৭ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পশ্চিমের পাহাড়ে থেমে থেমে র্যাব ও ডাকাত দলের মাঝে পাল্টাপাল্টি গুলাগুলির এ ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে ফারুক, নুরাইয়া, ইমরান ও আবদুল্লাহ নামে ৪জনের পরিচয় পাওয়া গেলেও আরো ৩ জনের পরিচয় এখনো সনাক্ত করা যায়নি।
ঘটনাস্থলে পরিদর্শন শেষে র্যাব-১৫ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান সাংবাদিকদের জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ে স্বশস্ত্র রোহিঙ্গা ডাকাত জকির বাহিনীর অবস্থানের খবর পেয়ে র্যাবের একটি চৌকস আভিযানিক দল সেখানে অভিযান চালায়। এ সময় ডাকাতরা র্যাবের উপস্তিতি ঠের পেয়ে র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি করলে র্যাব সদস্যরাও পাল্টা গুলিবর্ষন করে । কিছুক্ষন পর গুলাগুলি থেমে গেলে ঘটনাস্থলে তল্লাশীর এক পর্যায়ে সাতজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাদের উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাদের মৃত ঘোষণা করেন। তারা সকলেই রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী জকির বাহিনীর সদস্য বলেও জানায়।
র্যাবের এ কর্মকর্তা আরো বলেন, ঘটনাস্থল থেকে বিপুলপরিমান ইয়াবা, আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারোদ উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে একইদিন ভোররাতে নয়াপাড়া জাদিখাল এলাকায় বিজিবির সাথে মাদকপাচারকারীদের পাল্টাপাল্টি ‘গুলাগুলিতে’ এক মাদক পাচারকারী নিহত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে দেড়লাখ পিস ইয়াবা ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয় বলে জানায় বিজিবি। অজ্ঞাত অবস্থায় গুলিবিদ্ধ মাদকপাচারকারীকে উদ্ধার করলেও স্থানীয়রা জনান, নিহত ব্যক্তি আকিয়াব জেলার মংডু চালিপ্রাংা এলাকার জাফর আলমের ছেলে নুর আলম (৩০)।
টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২বিজিবি) অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোহাম্মদ ফয়সাল হাসান খান পিএসসি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি নাফ নদী হয়ে মায়ানমার হতে ইয়াবার একটি বিশাল চালান প্রবেশ করবে। উক্ত সংবাদে নয়াপাড়া বিওপির বিশেষ একটি টহল দল জাদিমোড়া খাল সংলগ্ন পয়েন্টে অবস্থান নেয়। কিছুক্ষণ পর মাদকের চালান নিয়ে নৌকাযোগে কয়েকজন ব্যক্তি নাফনদীর উপকুলে উঠে পালিয়ে যাওয়ার সময় বিজিবি সদস্যরা চ্যালেঞ্জ করলে মাদক কারবারীরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। এ সময় বিজিবির ৩ জন সদস্য আহত হন। জানমাল রক্ষার্থে বিজিবিও পাল্টা গুলি ছোড়ে। উভয়পক্ষের মধ্যে ৪-৫ মিনিট গুলি বিনিময় হয়। এতে অস্ত্রধারীরা গুলি করতে করতে কেওড়া বাগানের মধ্যে পালিয়ে যায়। কিছুক্ষন পর গুলাগুলি থেমে গেলে ঘটনাস্থল থেকে একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।