॥ শামীম ইকবাল চৌধুরী, নাইক্ষ্যংছড়ি ॥ নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। বুধবার (২৫ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবু জাফর মোঃ ছলিম বিষটি নিশ্চিত করে তিনি বলেন, গত মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) কক্সবাজার সদর হাসপাতালে মুসলিমা খাতুন নামে যে মহিলার কোভিট-১৯ করোনা ভাইরাস সনাক্তকরণ করা হয়ে তার চিকিৎসার তত্বাবধানে ছিলে বর্তমান নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নিবর্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া আফরিন কচির স্বামী ডা: মোঃ ইউনুচ।
ওই করোনা ভাইরাস আক্রান্ত মহিলার সংক্রমণ সনাক্ত না হওয়ার আগেই চিকিৎসাকালীন সময় স্ত্রী সাথে মেলামেশায় ছিলো। পরে গত মঙ্গলবার সংক্রমণ বহনককারী রিপোর্ট পাওয়ার পর স্বামী ডা: মোঃ ইউনুছ কক্সবাজার আইসোলেশন ওয়ার্ডে আছেন। আর এদিকে সর্তকতা অবলম্বন ও কোভিট-১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধে সাদিয়া আফরিন কচি হোম কোয়ারেন্টেইনে আছে রয়েছেন। তবে স্বামীর সাথে মেলমেশার এক সাপ্তাহ গত হয়ে যাওয়ায় বাকী আর এক সাপ্তাহ অবস্থান করার পর ১৪ দিন পূর্ণ হবে। এর পর মুক্ত ভাবে চলাফেরা করতে পারবেন সাদিয়া আফরিন কচি । খুঁজখবর রাখা হচ্ছে। তিনি এই পর্যন্ত সুস্থ আছেন।
আর এদিকে, নির্বাহী কর্মকর্তা হোম কোয়ারেন্টেইনে থাকার ফলে স্থবির হয়ে পড়েছে প্রশাসনিক কার্যক্রম। প্রশাসন সূত্রে জানান, পরবর্তী প্রশাসনিক দায়িত্বভার কে পালন করছেন তা এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা। কারন করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বিস্তার রোধ করতে নাইক্ষ্যংছড়িতে লক ডাউন জারি করে রাত সাড়ে ৮টার দিকে নির্বাহি কর্মকর্তা হোম কোয়ারেন্টেইনে চলে যান।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানা অফিসার ইনর্চাজ মোঃ আনোয়ার হোসেন জানান, গত রাত সাড়ে ৮টায় নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া আফরিন কচির স্বাক্ষরিত এক গণ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা লক ডাউন ঘোষণার মেসেজটি পাওয়ার সাথে সাথে লক ডাউনের সকল কার্যক্রম কাজ। পরে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টি,এস আবু জাফর মো,ছলিমের মারফত জানতে পরি ইউএনও ম্যাডাম কোয়েনটেইনে আছেন। তবে ওনার অনুপস্থিতিতে ইনশাল্লাহ জারিকৃত লক ডাউনের সকল কার্যক্রম সফল করতে প্রস্তুতি রয়েছি।