পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগ, উত্তর বন বিভাগ, অশ্রেণী ভ’ক্ত বনাঞ্চল বিভাগ, ও ঝুম নিয়ন্ত্রণ বন বিভাগের প্রধান কার্যালয় পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ১৫ মার্চ রবিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় জেনারেটর থেকে বৈদ্যুতিক শট সার্কিট থেকে আগুনে সুত্রপাত ঘটে। পুড়ে গেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম বন বিভাগের দীর্ঘ বছরের নথিপত্র। অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে রাঙ্গামাটি ও কাউখালী উপজেলার ফায়ার স্টেশনের ২ টি ষ্টেশনের ৭ ইউনিট প্রায় দেড় ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে অগ্নিকান্ডে প্রায় ৪ টি অফিসের ২ কোটি টাকার ও বেশী ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে।
রাঙ্গামাটি ফায়ার সার্ভিস উপ-পরিচালক রতন কুমার নাথ জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে আমাদের অনেক বেগ পেতে হয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আমাদের রাঙ্গামটি ও কাউখালীর দুটি স্টেশনের ৭ টি ইউনিট প্রায় দেড় ঘন্টার ও বেশী চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছি। তবে এখনো পর্যন্ত আগুন নেভানো সম্ভব হয়নি। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নেভানো কাজে এখনো নিয়োজিত রয়েছে। প্রাথমিক ভাবে আমরা কোন তদন্ত করার সুযোগ পায়নি। পরে তদন্ত করে জানা যাবে।
রাঙ্গামাটি ফরেষ্ট অফিসের কর্মকর্তাদের একটি সুত্র জানায়, সকাল থেকে যথারীতি সকলেই অফিস আসে বিদ্যুৎ না থাকায় জেনারেটর দিয়ে কম্পিউটার সহ বিভিন্ন বৈদুতিক সরঞ্জাম চালানো হচ্ছে। এ সময় বৈদ্যুতিক শট সার্কিটের কারণে আগুন ধরে যায়। আমরা তাৎক্ষনিক আগুন নেভানোর চেষ্টা চালালেও অফিস ঘর দীর্ঘদিনের পুরনো এবং দীর্ঘ বছরের কাগজ ও ফাইল পত্র থাকায় আগুন মুহুর্তেও মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। সাথে সাথে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়। আগুন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে কাউখালী ফায়ার সার্ভিসের গাড়ীও এসে যোগ দেয়। প্রায় ১ ঘন্টার বেশী সময় চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়।
ঘটনার খবর পেয়ে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক এ,কে,এম মামুনুর রশিদ, রাঙ্গামাটি সদর জোনের জোন কমান্ডার লেঃ কর্ণেল মাঈন উদ্দিন পিএসসি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তাপস রঞ্জন ঘোষ সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছেন।