চট্টগ্রাম অফিস :: চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট জনাব মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেনের নির্দেশে বিদেশ ফেরতদের হোম কোয়ারেন্টিনসহ সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা নিশ্চিতকরণ, বাজার মনিটরিং, করোনার প্রাদুর্ভাব সম্পর্কে মাইকিং, অপ্রয়োজনীয় জনসমাগম প্রতিরোধকল্পে সেনাবাহিনী ও পুলিশের সমন্বয়ে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা অব্যাহত রেখেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেসী টিম। পৃথক পৃথক অভিযানে মোট ৪০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
আজ ১১ এপ্রিল ২০২০ ইং শনিবার নগরীর চান্দগাঁও, পাচলাইশ, খুলশী ও বাকলিয়া এলাকায় সকালে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের বাকলিয়া সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আশরাফুল হাসান। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ব্যবসা পরিচালনার অপরাধে শুলকবহরের বিসমিল্লাহ এন্টারপ্রাইজকে ৫ হাজার টাকা, পুরাতন চান্দগাঁও এলাকার আল রিয়াদ গ্লাস হাউসকে ১০ হাজার টাকা, নেপাল ইলেকট্রনিক্সকে ১ হাজার টাকা ও বহদ্দারহাট পুলিশ বক্সেও সামনে চা দোকানদার দিলীপ বণিককে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া বিনা প্রয়োজনে বাসার বাইওে ঘুরাফেরা করার অপরাধে মনসুর নামে এক ব্যক্তিকে ৫’শ টাকা জরিমানা করা হয়। একইসাথে এলাকাগুলোতে বিভিন্ন বাজার মনিটরিং, হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিতসহ মাইকিংয়ের মাধ্যমে করোনার প্রাদুর্ভাব সম্পর্কে জনগণকে সচেতন ও বিনা প্রয়োজনে বাসার বাইরে আসার জন্য অনুরোধ করা হয়। অভিযানে কোন পণ্যবাহী পরিবহনে যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে কি না তা তদারকি করা হয়। পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা অভিযানে সহযোগিতা করেন।
নগরীর চকবাজার, বায়েজিদ, কোতোয়ালি ও সদরঘাট এলাকায় সকালে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এস.এম আলমগীর। অভিযানে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ব্যবসা পরিচালনার অপরাধে কোতোয়ালী এলাকার দু’টি দোকানকে ৫ হাজার ২’শ টাকা ও বিনা প্রয়োজনে বাসার বাইরে ঘুরাফেরা করার অপরাধে সদরঘাট এলাকার ৩ ব্যক্তিকে ১ হাজার ২’শ টাকা জরিমানা করা হয়। একইসাথে এলাকাগুলোর কাঁচা বাজার পরিদর্শন ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকল্পে নগরবাসীকে মাইকিংয়ের মাধ্যমে ব্যাপকভাবে সচেতন করা হয়। পুলিশ ও সেনাবাহিনী অভিযানগুলোতে সহযোগিতা করেন।
নগরীর হালিশহর, পাহাড়তলী ও আকবর শাহ এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ উমর ফারুক। এ সময় হালিশহরের ফইল্ল্যাতলী বাজার এলাকায় বিনা প্রয়োজনে বাসার বাইরে ঘুরাফেরা করার অপরাধে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় ১২০ জন যুবককে আটক করা হয়। তন্মধ্যে ১০৭ জন যুবককে ঘর থেকে বের না হওয়ার শর্তে শপথ করিয়ে ছেড়ে দেয়া হয় এবং বাকী ১৩ জনকে ২ হাজার ৮৫০ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া এসব এলাকার কাঁচা বাজার ও টিসিবি’র পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম পরিদর্শনসহ করোনার প্রাদুর্ভাব সম্পর্কে মাইকিং করা হয়।
নগরীর ডবলমুরিং, বন্দর ও ইপিজেড এলাকায় সকালে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রেজওয়ানা আফরিন। এসময় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ব্যবসা পরিচালনার অপরাধে বন্দর ও পতেঙ্গা এলাকার ২টি ইলেকট্রনিক্সের দোকানকে ৭ হাজার টাকা, ১টি টেইলার্সকে ১ হাজার টাকা, ১টি হার্ডওয়্যারের দোকানকে ২ হাজার টাকা ও ১টি জুতার দোকানকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একইসাথে এলাকাগুলোর কাঁচা বাজার পরিদর্শন ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকল্পে নগরবাসীকে মাইকিংয়ের মাধ্যমে ব্যাপকভাবে সচেতন করা হয়। পুলিশ ও সেনাবাহিনী অভিযানগুলোতে সহযোগিতা করেন।