জেলা উপজেলার সাংবাদিকদের প্রনোদনা তালিকা প্রেস কাউন্সিলের নাটকীয়তা সাংবাদিক ইউনিয়নের তালিকা প্রসঙ্গে সাংবাদিক সংবাদপত্রের সকলকে একতাবদ্ধ হতে হবে

॥ আলহাজ্ব এ,কে,এম মকছুদ আহমেদ ॥ সম্পাদক-প্রকাশক, দৈনিক গিরিদর্পণ, রাঙ্গামাটি
হেডিং টা বড় না করে উপায় নাই। যেহেতু হেডিং এর মাধ্যমেই সব কিছু বুঝতে হবে। অনেক গুলো বিষয়কে নিয়ে লিখতে হচ্ছে। আলাদা আলাদাভাবে লিখতে গেলে সময় ও লাগবে এবং অনেক বড় হবে। তাই এই লিখা।
বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল সাংবাদিকদের কল্যানে নিয়োজিত তথ্য মন্ত্রনালয়ের অধিনে একটি স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান এই প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে অনেকের ধারনা নেই। বললেও ভুল হবে না। হঠাৎ করে ডিসিদের নিকট চিঠি পাঠানো হলো। জেল উপজেলার । সাংবাদিকদের প্রনোদনা দিতে তালিকা তৈরী করতে। চিঠি প্রচার হওয়ার সাথে সাথে অনেক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। ২ দিন পর আবার চিঠিটি প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।
প্রথমতঃ ডিসিদের প্রনোদনা দিতে তালিকা তৈরী করতে বলে। কিন্তু বৎসর দুয়েক পূর্বে প্রেস কাউন্সিল সারা দেশে ডিসিদের মাধ্যমে সাংবাদিকদের তালিকা নিয়ে ছিলেন সেক্ষেত্রে ডিসিদের তারিকা তৈরী করতে পুনঃরায় বলার প্রয়োজন কোথায়? প্রেস কাউন্সিল সরকারের কিনট প্রস্তাব অথবা সুপারিশ করতে পারেন। প্রনোদনা দেওয়ার জন্য। তহবিল ছাড়া ডিসি সাহেবেরা কোত্থেকে দিবেন। এটাও ভেবে দেখা দরকার।
২য়তঃ অতি সম্প্রতি আঞ্চলিক তথ্য অধিদপ্তর থেকে সাংবাদিক কর্মচারীদের তালিকা নিয়েছেন। তাহলে তালিকা তৈরীর অর্থই নাই। এরই ধারাবাহিকতা সাংবাদিক ইইনয়ন মাত্র ৫/৭ হাজার সাংবাদিকদের তালিকা দিয়েছে তথ্যমন্ত্রীর নিকট। এতে বুঝা যায় তারা সংকীর্নতার উদ্ধে নয়। ঢাকা শহরেই বিশ হাজারের উপর সাংবাদিক কর্মচারী রয়েছে। যেখানে সকল সংগঠন এর সাথে বসে একটা তালিকা দেয়া গেলে সংকীর্নতার উদ্ধে থাকতেন।
একটা হাস্যকর তালিকা দেয়া হয়েছে ৫৩ টি জেলা থেকে ৩৫ জন করে দেখানো হয়েছে। কোন কোন উপজেলায় ৩৫ জনের বেশী সাংবাদিক কর্মচারী রয়েছে। এছাড়া ডিএফপিতে যে সব পত্রিকা বিজ্ঞাপন তালিকা ভ’ক্ত আছে সেখানে সাংবাদিক কর্মচারীদের তালিকা রয়েছে। প্রেস ইনিষ্টিটিউট এবং সাংবাদিক ইউনিয়ন তালিকা নিয়ে এত নাটকিয়তার প্রয়োজন ছিলো না।
প্রনোদনা যদি সরকার থেকে দেয়া হতো তাহলে জেলা উপজেলা সাংবাদিকদের কেই দেয়া প্রয়োজন। জেলা উপজেলায় অনেক সাংবাদিক রয়েছে যারা ঢাকার পত্রিকার কাজ করেন তাহরা ২/৩ বছর কোন বেতন ভাতা পায় না আবার অনেকে বিনা বেতনে কাজ করছে। স্থাণীয় সাংবাদপত্রে কাজ করে কেউ কেউ দিনতিপাত করছে। জেলা উপজেলায় ২/১ টা পত্রিকা বাদ দিয়ে অনেকেই স্থাণীয় পত্রিকায় কাজ করে সংসার চালায়।
বেতন বোর্ড রোয়েদাদে মফস্বল সাংবাদিকদের যে হার দেয়া হয়েছে সেই হার মতো কেউ পায় না বললে ভুল হবে না। ঢাকা, চট্টগ্রাম সহ সিটি কর্পোরেশনে ওয়োজ বোর্ডে যে চিকিৎসা ভাতা পায় মফস্বলে বেতন ভাতা ও অনেক কম দেয়া হয়। বর্তমানে মহামারী সময়ে সিটির সাংাবদিকদের জন্য আমাদের চিকিৎসা ভাতা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তেলা মাথায় তেল দেয়ার মত অবস্থায়। মফস্বলের সাংবাদিকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিনা বেতনে কাজ করেতেছে। তাদের দিকে কারও খেয়াল নেই। অথবা শতকরা ৮৫ ভাগ মফস্বলের সাংবাদিকরাই কাজ করছে।
গ্রামীন সংবাদপত্র গুলোর যে ভূমিকা রয়েছে সে দিকে কারও খেয়াল নেই। গ্রামীন বা মফস্বলের সংবাদপত্র গুলো বাচানোর জন্য বিজ্ঞাপন নীতিমালা বদলাতে হবে। বিজ্ঞাপনের হার বাড়াতে হবে। বিজ্ঞাপনের বিল পরিশোধে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ বাড়াতে হবে। নতুবা গ্রামীন বা মফস্বরেল সংবাদপত্র গুলো বন্ধ হয়ে যাবে।
বর্তমানে অনলাইন পত্রিকা গুলোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। সেখানে ঢাকা থেকে প্রকাশিত অনেক পত্রিকা বন্ধ হয়ে গেছে। মফস্বলের অনলাইন পত্রিকা গুলোই ভূমিকা বেশী রেখেছে। অনলাইন পত্রিকায় কোন বিজ্ঞাপন দেওয়ার নিয়ম নাই। কাজেই যাতে বিজ্ঞাপন দেয়া যায় সে ব্যবস্থা নিতে হবে।
টেলিভিশন চ্যানেল গুলো ও যথেষ্ট ভাল ভূমিকা রেখেছে তাদের দিকে নজর দেয়া দরকার। তারা ভালরকম বিজ্ঞাপন পায় টেলিভিশন সাংবাদিকদের জন্য আলাদা বেতন বোর্ড রাখলে ভাল হবে। বর্তমানে গ্রামে শহরের সাংবাদিকদের অনেক সংগঠন রয়েছে। অনেকেই দ্বিধা বিভক্ত সংগঠন নিয়ে একটা বিশ্রি অবস্থার মাধ্যমে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে চলেছে। এ গুলো সংগঠনের কোন প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। সারাদেশে পূর্বের মতো মফস্বলের জন্য বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতির একটা সংগঠন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন একটাই এবং শ্রমিক কর্মচারীদের জন্য একট সংগঠনের মাধ্যমে চললে অনেক সুবিধা হবে।
মফস্বলের সংবাদপত্র গুলোর জন্য বাংলাদেশ গ্রামীন সংবাদপত্র পরিষদ নামে একটা সংগঠন ছিল আমিই ৭ বছর সভাপতি ছিলাম। ঢাকা, চট্টগ্রাম সহ কিছু জেলার জন্য বাংলাদে সংবাদপত্র পরিষদ এবং বাংলাদেশ সম্পাদক পরিষদ ছিল বর্তমানে কাজ কর্মছাড়া অনেক সংগঠন রয়েছে। এক একটি কেন্দ্রীয় কমিটি থাকলেই সুবিধা হবে মনে করি।
এতএব সম্মলিত ভাবে এগিয়ে এসে একটি সংগঠন সৃষ্টি করা ছাড়া উপায় নাই।
সারাদেশের প্রেসক্লাব গুলোকে জাতীয় প্রেসক্লাবের আওতায় নিয়ে যাওয়া হলে অনেকটা ভাল হবে। জাতীয় প্রেসক্লাবের সকলের অংকীদারিত্ব থাকতে হবে।

মুক্ত গণমাধ্যম চাই : সকল গণমাধ্যমে এক নীতিমালা, তথাকথিত ওয়েজ বোর্ড বাতিল, নিজস্ব বেতন বোর্ড, বিজ্ঞাপন ও ক্রোড়পত্র নীতিমালা নিয়ন্ত্রণ মুক্ত, প্রয়োজনীয় কাঁচামালের মূল্য কমানো ও মফস্বলের পত্রিকাগুলো সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করে টিকিয়ে রাখতে হবে

Archive Calendar
Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930