॥ জগৎ দাশ,বাঘাইছড়ি ॥ রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে ২ হাজার শ্রমজীবি প্রবেশ করার খবর পাওয়া গেছে। তারা সকলে বাঘাইছড়ি উপজেলার স্থানিয় বাসিন্দা বলে নিশ্চিত করেছেন স্থানিয় ইউপি চেয়ারম্যানগন। বাঘাইছড়িতে প্রবেশ কৃত শ্রমজীবিরা সকলে ঢাকা- চট্রগ্রামে বিভিন্ন গার্মেন্টস কর্মী বলে জানা গেছে। দেশে করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সরকারি ঘোষনা অনুযায়ী দেশের সকল গার্মেন্টস বন্ধ ঘোষনা করলে বিপাকে পড়ে যায় গার্মেন্টস শ্রমজীবিরা তাই নিজ এলাকায় ফিরতে মরিয়া হইয়ে উঠেন তারা। দেশের এমন দূর্যোগ কালীন পরিস্থিতে প্রিয় জম্মস্থানে আসার বিভিন্ন উপায়ন্তর খুঁজে এসে ভিড় জমায় খাগড়াছড়ি জেলা সদরে।
জানা যায়, (১৪ এপ্রিল) থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা লোকজন নানা লাঞ্চনার শিকার হয়ে শেষ পর্যন্ত স্থানিয় চেয়ারম্যানদের জিম্মায় দিয়ে ছেড়ে দেন খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন। খোঁজ নিয়ে জানাযায়, ২০ এপ্রিল পর্যন্ত উপজেলার ৮ টি ইউনিয়নে প্রায় ২ হাজার লোকের প্রবেশ ঘটে। এনিয়ে এলাকার মানুষের মাঝে চরম ভয় ও নানা ভীতিকর পরিস্থিতি দেখা দেয়।
উপজেলার ৮ ইউনিয়নের জীম্মাদর চেয়ারম্যানদের সাথে কথা হলে তারা জানান, রুপকারী ইউপিতে, ১৪৭ জন, খেদারমারা ইউপিতে ৩০১ জন, সাজেক ইউপিতে ৩১৫ জন, মারিশ্যা ইউপিতে ১০৫ জন, বাঘাইছড়ি ইউপি, ১৪০ জন, বঙ্গলতলী ইউপিতে ৮৮৫ জন, সারোয়াতলী ইউপিতে, ১৪৫ জন, আমতলী ইউপিতে ০১ জন। এলাকাবাসী ও স্থানীয় চেয়ারম্যানগন আরো বলেন,ঢাকা-চট্রগ্রাম থেকে বিভিন্ন এলাকায় ইউনিয়নে যারা প্রবেশ করেছেন তারা সেচ্ছায় ও স্থানীয়দের সহায়তায় হোম কোয়ারাইন্টাইন পালন করছে।এতে এলাকাবাসী যেমন সযাগ থেকে সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে তেমনি করে প্রবেশ কারী শ্রমিকগন নিজ এলাকা সুরক্ষিত রাখতে বদ্ধপরিকর।
প্রবেশকারী কয়েকজনের সাথে কথা হলে দিবানিশি চাকমা বলেন, স্থানিয় এলাকাবাসী চেয়ারম্যান ও প্রশাসনের আন্তরিকতায় আমরা নিজ জম্মভূঁমিতে প্রবেশ করতে পারায় আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা যানায় তাদের। দেশের এমন ক্রান্তিকালে তাদের সহানুভূতিতে নিজ জম্মভূমি মা বাবা আত্মীয় স্বজনকে কাছ থেকে দেখতে পাচ্ছি তাদের আন্তরিকতা না হলে আমরা হয়ত না খেয়ে মারা পরতাম। তিনি আরো বলেন, হোম কোয়ারাইন্টেন আমরা নিজ উদ্যোগে পালন করছি এটা আমাদের ও পরিবারের সুরাক্ষায় আমরা এটা করছি। তাদের দায়িত্ব প্রাপ্ত ৮ ইউনিয়ন চেয়ারম্যানগন এই প্রতিবেদনকারীকে নিশ্চিত করে বলেন, হোম কোয়ারাইন্টেন সকলে আগ্রহের সহিত পালন ও এলাকাবাসী তাদের যতেষ্ট সহযোগীতা করছেন এব্যাপারে।
স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চ বিদ্যালয়, কলেজ, বন কুঠির ভাবনা কেন্দ্র, স্ব উদ্যোগে কারো ঘর খালি করে দেওয়া, তেরপাল দিয়ে ও মাচাং করে অস্থায়ী ভাবে ঘর নির্মান করে সকলে কোয়ারাইন্টেন পালন করছেন। চেয়ারম্যানগন আরো বলেন, কোয়ারাইন্টেনে থাকা লোকজনদের ইউনিয়ন পরিষদ হতে খাদ্য সহায়তা প্রদান করছেন।