চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম. নাছির উদ্দীন বেসরকারী সমাজসেবা মূলক সংগঠন আল মানহিল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশের প্রয়াস ও বর্তমান কার্যক্রমকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, মরণব্যাধী করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় শুধু রাষ্ট্র ও সরকারের সকল প্রচেষ্টার পাশাপশি বেসরকারি ব্যক্তি ও সামাজিক উদ্যোগ সংকট মোচনে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখতে পারে বলে আমি বার বার বলে আসছি। চট্টগ্রাম নগরীতে মানবিক কল্যাণ ও সামাজিক দায়বদ্ধতা নিয়ে সমাজসেবা মুলক সংগঠন আল মানহিল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ সেবা দানের ক্ষেত্রে একটি নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে। আজ বুধবার সকালে টাইগারপস্থ চসিক মেয়র দপ্তরে অনুষ্ঠিত আল মানহিল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ এর সাথে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের এক সমন্বয় বৈঠকে মেয়র একথা বলেন। এতে তিনি আরো বলেন , করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের জরুরী সেবা ও প্রয়োজনে যদি মরদেহ দাফনে-কাফন ও সৎকারে নগরীতে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। অনেক কবরস্থানে জ্বর, সর্দি কাশি আর শ্বাসকষ্টে মৃতের দাফনেও অনিহা প্রকাশ করছে। জনমনে আতঙ্কের কারণে করোনা ভাইরাস ছাড়াও অন্যান্য রোগে মারা যাওয়াদের কবর দেয়ার ক্ষেত্রে নানা জটিলতা ও বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে স্বজনদের। এমন অবস্থায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের এ্যাম্বুলেন্স সেবা ও মৃত ব্যক্তির দাফনে স্বেচ্ছায় দায়িত্ব নিতে চায় বেসরকারি সমাজসেবা মুলক সংগঠন আল মানহিল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ। তাই তাদেরকে এই নগরীর মেয়র হিসেবে এবং আমার ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে স্বাগত জানিয়ে মহান আল্লাহ তা’য়ালার প্রতি শুকরিয়া জানাই। বৈঠকে ডিজিএফআই চট্টগ্রামের পরিচালক ব্রি.জেনারেল কবীর আহম্মদ,স্বাস্থ্য অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার, চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. ফজলে রাব্বী, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী, বিএমএ চট্টগ্রাম এর সভাপতি অধ্যাপক মুজিবুল হক খান, সাধারণ সম্পাদক ডা. ফয়সল ইকবাল চৌধুরী, আল মানহিল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ এর চেয়াম্যান হেলাল উদ্দিন জমির জমির উদ্দিন, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ উদ্দিন জমির উদ্দিন, পরিচালক শিহাব উদ্দিন জমির উদ্দিন, প্রধান সমন্বয়কারী আবুল কালাম আজাদ প্রমূখ। সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সিটি মেয়র মহোদয়ের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, করোনায় মারা যাওয়া ব্যক্তির মরদেহ দাফনের জটিলতা এসময় একটি বিরাট সমস্যা। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তির মরদেহ দাফনে ভীতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। এই সমস্যা সমাধানে সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে ভূমিকা রাখতে চায় আল মানহিল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ। তারা বলেন, আক্রান্ত হয়ে অথবা করোনা সন্দেহে কেউ মারা গেলে মৃতের কবর খনন এবং জানাজাসহ দাফনের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে প্রস্তুত আছেন তারা। এ ক্ষেত্রে ধর্মীয় যে রীতি অনুযায়ী দাফন কাফন ব্যবস্থা করা হবে। আমাদের যথেষ্ট পিপিই আছে। নিজেদের সুরক্ষা নিশ্চিত করেই এই কাজটি করতে হবে। চট্টগ্রাম জেলার সিভিল সার্জন ডা. ফজলে রাব্বী বলেন, মানবিক সেবায় বেসরকারী সেবা মূলক সংগঠন আল মানহিল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন এগিয়ে আসায় তাদের কর্মকর্তাদের অভিনন্দিত করে বলেন, এই কার্যক্রমে নিয়োজিতদের রোগী বহন ও প্রয়োজনে দাফন-কাফন ও সৎসারে গঠিত এ স্বেচ্ছাসেবী দলকে স্বাস্থ্য ঝুঁকি সুরক্ষায় সরকারী বিধি অনুসরণ করে প্রশিক্ষণের পাশাপাশি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।
চসিক পরিচ্ছন্ন বিভাগের সেবকপদে কর্মরতদের মাঝে সরকারী ত্রাণ বিতরণ : আজ বুধবার বিকেলে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন বিভাগের সেবক পদে কর্মরতদেরকে আন্দরকিল্লাস্থ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ভবনে সরকার প্রদত্ত ত্রান সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এসময় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম. নাছির উদ্দীন উপস্থিত থেকে এই ত্রাণ কার্যক্রম তিনি নিজে তদারক করেন এবং তিনি বলেন, করোনা আক্রান্ত এই দু:সময়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মচারীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। এজন্য অনেককে ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। তবে এতে ভয়ের কিছু নেই। দূর্যোগ মোকাবেলায় সামহস নিয়ে অর্পিত দায়িত্ব পালনের বিকল্প নেই। এসময় ডিজিএফ আই চট্টগ্রামের পরিচালক ব্রি.জেনারেল কবীর আহম্মদ,চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা সফিকুল মান্নান সিদ্দিকী, উপ প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধরী, তত্ত্বাবধায় প্রকৗশলী সুদীপ বসাক প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।