মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মফস্বলে যারা সাংবাদিকতা পেশায় নিয়োজিত অধিকাংশই গরীব এবং সংবাদপত্র গুলোর খুব একটি ভাল অবস্থায় নেই।
যারা ঢাকার সংবাদপত্র এবং টেলিভিশনে কাজ করে তাদের অধিকাংশই নিয়মিত বেতন ভাতা পায় না। ফলে দিনাতিপাত করতে কষ্ট হয়। মফস্বলের পত্রিকা গুলোর অবস্থা ভাল না।
ঢাকার সাথে যারা জড়িত তাদের বেতন ভাতা পরিশোধের ব্যবস্থা কখন হবে অনিশ্চিত। তাই সাংবাদিকদের জন্য একটি থোক বরাদ্দ অনুদান দেয়া গেলে তাদের কষ্ট লাগব হবে। জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে এই দুর্দিনে জীবনের মায়া ত্যাগ করে মফস্বলের সাংাবদিকরা দায়িত্ব পালন করতেছে। ইতিমধ্যে ঢাকার কিছু কিছু পত্রিকা বন্ধ হয়ে গেছে। মফস্বলের অধিকাংশ পত্রিকা বন্ধ হয়ে গেছে। মফস্বলের পত্রিকা গুলো এমনটিতে কষ্টে আছে কারণ মফস্বলের পত্রিকা যা বিজ্ঞাপন দেয়া হয় না সব বিজ্ঞাপন ঢাকার পত্রিকায় দেয়া হয়। বিশেষ বিশেষ দিবসের সরকারী ক্রোড়পত্র এ গুলোও বেশীরভাগ ঢাকার পত্রিকাকে দেয়া হয়। হাতে গোনা ২/১ টা মফস্বলের পত্রিকাকে দেয়া হয় তাতেও গড়মিল দেখা যায়।
বিজ্ঞাপন ছাড়া পত্রিকা টিকিয়ে রাখা অসম্ভব। মফস্বলের সব বিজ্ঞাপন ঢাকার বিজ্ঞাপন সহ ঢাকার পত্রিকাকে দেয়া হয়। ফলে তেলা মাতায় তেল দেয়ার অবস্থা। মফস্বলে এমনিতেই বিজ্ঞাপন কম, কাজেই মফস্বলের বিজ্ঞাপন মফস্বলের পত্রিকাকে দেয়া হউক। নতুবা পূর্বের মত ৬০% ৪০% হিসাব বিজ্ঞাপন দেয়া হউক। মফস্বলের বিজ্ঞাপন ঢাকার পত্রিকায় না দিলেও কোন অসুবিধা নেই। যেহেতু ঢাকার বিজ্ঞাপন বেশী এবং ক্রোড়পত্র গুলো ঢাকা থেকে দেয়া হয়। মফস্বলের পত্রিকাকে ক্রোড়পত্র দেয়ার ব্যবস্থা নেয়া দরকার।
বর্তমান সংকট মুহুর্তে মফস্বলের পত্রিকা গুলো এককালীন সাহায্য দেয়ার জোর দাবী জানাচ্ছি।
মফস্বলের সাংবাদিক এবং সংবাদপত্র গুলোকে টিকিয়ে রাখতে জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া জোর দাবী জানাচ্ছি।
(লেখক সম্পাদক প্রকাশক, দৈনিক গিরিদর্পণ, রাঙ্গামাটি পার্বত্য চট্টগ্রাম ও সাবেক সভাপতি বাংলাদেশ গ্রামীন সংবাদপত পরিষদ।