যতই দিন যাচ্ছে পাহাড়ের মানুষের মাঝে করোনা আতংক বাড়ছে

॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ যতই দিন যাচ্ছে পাহাড়ের মানুষের মাঝে করোনা আতংক বাড়ছে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, নারায়নগঞ্জ, কুমিল্লা সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা লোকজনের সংখ্যা যেমন বাড়ছে তেমনি আতংকও দিন দিন বাড়ছে। রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের সীমান্তবর্তী গোদাড় পাড় এলাকায় শত শত চাকুরী জীবি লোকজন দলে দলে রাঙ্গামাটি প্রবেশের জন্য উদগ্রীব হয়ে আছে। প্রশাসনের অনুমতি না পাওয়ায় প্রবেশ করতে পারছে না। প্রশাসনের সরকারী সিদ্ধান্ত না হওয়ায় লোকজন প্রবেশ করতে পারছে না। এঅবস্থায় তারা মানবেতর দিন পার করছে। অপরদিকে হোম কোয়ারেন্টাইন থাকার অঙ্গিকারে বাঘাইছড়িতে গতকাল রাতেও অসংখ্য চাকুরীজীবি বাঘাইছড়ি উপজেলার বিভিন্ন উপজেলায় ঢুকে গেছে।
এই বিষয়ে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক এ,কে,এম মামুনুর রশিদ জানান, সরকারী নিষেধাজ্ঞা জারী করায় আমরা কাউকে রাঙ্গামাটিতে ঢুকতে দিতে পারি না। তিনি বলেন রাঙ্গামাটির পরিস্থিতি এখনো ভালো আছে। রাঙ্গামাটির মানুষকে ঝুঁকিতে না ফেলতে সরকারী নিষেধাজ্ঞা আমরা মেনে চলছি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তারা এতোদিন কষ্ট করেছে আরো একটি সপ্তাহ যে যেখানে ছিলো সেখানেই অবস্থান করুক। যারা খাবার কষ্টে আছে আমরা তাদের জন্য চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে খাবার পৌছে দিবো। কোথাও কোন বিপদ হলে আমাদের হট লাইন নাম্বার আছে এবং জেলা প্রশাসনের কন্টোল রুম নাম্বার আছে। এই নাম্বার গুলোতে ফোন করলে আমরা তাদেরকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবো কিন্তু সরকার সারা বাংলাদেশকে ঝুঁকিপূর্ণ করায় এক জেলা থেকে আরেক জেলায় প্রবেশ আমরা নিষেধাজ্ঞা জারী করেছি।
এদিকে রাঙ্গামাটি পুলিশ সুপার মোঃ আলমগীর কবির জানান, অনেকেই গতকাল এসেছে কিন্তু তাদেরকে আমরা সরকারী নিষেধাজ্ঞা থাকায় প্রবেশ করতে দিতে পারি নাই। তিনি বলেন, সরকারী ভাবে কোন সিদ্ধান্ত না হওয়ার কারণে আমরা তাদের বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি।
এই অবস্থায় রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কাউখালী, নানিয়ারচর ও বাঘাইছড়ি উপজেলায় প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন শুরু করেছে। রাঙ্গামাটির করোনার ফোকাল পার্সন ডাক্তার মোঃ মোস্তফা কামাল জানান, ইতিমধ্যে বাঘাইছড়ি ও কাউখালীতে ৩৮ জনকে রাখা হয়েছে। এর সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।
এদিকে সকাল থেকে রাঙ্গামাটির বিভিন্ন পয়েন্টে পয়েন্টে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। প্রতিটি এলাকায় এলাকায় পুলিশ, সেনাবাহিনী সহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারীতে কেউ ঘর থেকে বের হওয়ার সাহস পাচ্ছে না।

মুক্ত গণমাধ্যম চাই : সকল গণমাধ্যমে এক নীতিমালা, তথাকথিত ওয়েজ বোর্ড বাতিল, নিজস্ব বেতন বোর্ড, বিজ্ঞাপন ও ক্রোড়পত্র নীতিমালা নিয়ন্ত্রণ মুক্ত, প্রয়োজনীয় কাঁচামালের মূল্য কমানো ও মফস্বলের পত্রিকাগুলো সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করে টিকিয়ে রাখতে হবে

Archive Calendar
Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930