সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ২৬ টাকা কেজি দরে ধান কেনা আজ রোববার থেকে শুরু হচ্ছে। করোনা পরিস্থিতিতে দ্বিগুণ করা হয়েছে সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা।
চলতি মৌসুমে কেনা হবে প্রায় ২০ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য। এবার পর্যাপ্ত খাদ্য মজুদ এবং জেলা পর্যায়ে খাদ্য সংরক্ষণের ফলে খাদ্য ঘাটতির কোনো আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
হাওরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ইতোমধ্যে কৃষকের ঘরে ধান উঠতে শুরু করেছে। বিভিন্ন এলাকায় বেশ জোরেশোরে ধান কাটাও চলছে। বোরো মৌসুম সামনে রেখে প্রতি বছর খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারন কমিটি ধান-চাল সংগ্রহের লক্ষ্যে একাধিক সভা করলেও এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। করোনার কারণে সাধারণ ছুটি থাকায় কোনো সভা ছাড়াই খাদ্যশস্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।
জানা গেছে, ২৬ টাকা দরে আট লাখ টন ধান কেনা শুরু হবে আজ। এরপর ৭ মে থেকে শুরু হবে ৩৬ টাকা কেজি দরে ১০ লাখ টন সিদ্ধ চাল কেনা। একইসঙ্গে ৩৫ টাকা কেজি দরে দেড় লাখ টন আতপ চাল এবং ২৮ টাকা কেজি দরে ৭৫ হাজার টন গম কেনা হবে।
এবার দেশের অর্ধেক জেলা থেকে অ্যাপসের মাধ্যমে ধান কেনার কথা থাকলেও প্রশিক্ষণের অভাবে মাত্র ২২টি জেলায় এ ব্যবস্থা থাকছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে শেষ মুহূর্তে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা সম্ভব না হওয়ায় এটি কার্যকর করা যায়নি।
বিআইডিএসের মহাপরিচালক কে এ এস মুর্শিদ জানান, কমপক্ষে তিন মাসের জন্য সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকবে। চরম স্বাস্থ্যঝুঁকি রেখে অর্থনীতি স্বাভাবিক রাখা কষ্টকর। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোকে আগে চিহ্নিত করতে হবে এবং সেগুলোকে পুরোপুরি আইসোলেটেড করতে হবে।