সোহেল রানা দীঘিনালা প্রতিনিধি :: খাগড়াছড়ির দীঘিনালা বাবুছড়া এলাকায় মাইনী নদীতে প্রায় ৫ লক্ষাধিক বাঁশ পরিবহন সংকট এবং ছাড়পত্রের অভাবে আটকা পরে থাকার বিভিন্ন পত্রিকায় নিউজ প্রকাশের পর জোনের দৃষ্টিগোচরে আসে, যার আনুমানিক বাজার মূল্য আড়াই কোটি টাকা। করোনা পরিস্থিতির কারণে সৃষ্ট লকডাউন এর আওতায় পণ্য পরিবহনে কোনো বাধা না থাকায় জোন সমস্যার প্রকৃত কারণ উদঘাটনের জন্য কাজ করে। কারণ হিসেবে জানা যায় যে, চলমান করোনা পরিস্থিতির কারণে পরিবহন সংকট এবং রাঙ্গামাটি বন বিভাগ এর অফিস গত ১৭ মার্চ ২০২০ তারিখ আগুনে পুড়ে যাওয়ায় কোন ধরনের পরিবহন ছাড়পত্র দেওয়া হচ্ছে না। উল্লেখ্য যে, গত ২৬ মার্চ ২০২০ তারিখ থেকে সারাদেশে করোনা পরিস্থিতির জন্য লকডাউন শুরু হয়েছে। দীঘিনালা উপজেলা থেকে বাস পরিবহনের জন্য রাঙ্গামাটি বনবিভাগের ছাড়পত্র প্রয়োজন বিধায় ছাড়পত্র না দেওয়ার ফলে বাঁশ পরিবহন এর কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।একদিকে লকডাউন এর কারণে পরিবহন সংকট অন্যদিকে বনবিভাগের ছাড়পত্র না পাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় বাঁশ ব্যবসায়ী। ফলশ্রুতিতে সাধারণ শ্রমজীবী মানুষের জীবন-জীবিকা হুমকির মুখে পড়েছে। যথা সময়ে পরিবহন কার্যক্রম সম্পন্ন করতে না পারলে বর্তমান বৃষ্টির মৌসুমে বাঁশগুলো পাহাড়ী ঢলের স্রোতে ভেসে যাওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। উল্লেখ্য যে আগামী জুন জুলাই আগস্ট মাসে বাঁশ কাটার কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। কাজেই মে মাসের মধ্যেই বাঁশের পরিবহন কাজ সম্পন্ন করতে হবে।
দীঘিনালা জোনের জোন কমান্ডার লেঃ কর্ণেল আদনান কবির, পিপিএম (বার), পিএসসি, এর নির্দেশনা মোতাবেক বন বিভাগ এর কার্যালয়, নাড়াইছড়ি রেঞ্জ, দীঘিনালা এর মাধ্যমে রাঙ্গামাটি বন বিভাগের প্রধান কার্যালয় হতে অনুমতি সাপেক্ষে জামতলী রেঞ্জ এর একজন প্রতিনিধির মাধ্যমে মাইনি নদীতে অপেক্ষামান বাঁশ সরেজমিনে পরিদর্শন করে। ছাড়পত্র প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। সে অনুযায়ী ০২ মে ২০২০ তারিখ হতে সর্বত্র সমস্যার কারণে আটকে থাকা বাঁশ সরবরাহের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। অত্র জোন কর্তৃক গৃহীত কার্যক্রমে বাঁশ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সহ প্রায় ৫০হাজার বাঁশ শ্রমিক সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। দীঘিনালা জোন ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।