দেশের একমাত্র কার্প জাতীয় মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন ক্ষেত্র হালদায় রুই, কাতলা, মৃগেল ও কালিবাউশ মাছের ডিম সংগ্রহ করছেন বংশ পরম্পরায় অভিজ্ঞ মৎস্যজীবীরা। বৃহস্পতিবার (২১ মে) রাত ১২টার দিকে জোয়ারের সময় মা-মাছের কিছু নিষিক্ত ডিম পেলেও শুক্রবার (২২ মে) সকাল থেকে পুরোদমে ডিম ছাড়ছে বড় বড় মা-মাছগুলো। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় শত শত জেলে নৌকা, জাল, বালতি নিয়ে মেতে উঠেছেন ডিম সংগ্রহের উৎসবে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও হালদা বিশেষজ্ঞ ড. মো. মনজুরুল কিবরীয়া হালদায় মা-মাছ ডিম ছাড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মূলত হালদার কাগতিয়ার আজিমের ঘাট, খলিফার ঘোনা, পশ্চিম গহিরা অংকুরী ঘোনা, বিনাজুরী, সোনাইর মুখ, আবুরখীল, খলিফার ঘোনা, সত্তারঘাট, দক্ষিণ গহিরা, মোবারকখীল, মগদাই, মদুনাঘাট, উরকিচর এবং হাটহাজারী গড়দুয়ারা, নাপিতের ঘাট, সিপাহির ঘাট, আমতুয়া, মার্দাশা ইত্যাদি এলাকায় ডিম পাওয়া যায় বেশি। বংশ পরম্পরায় চলে আসা রেওয়াজের পাশাপাশি আধুনিক পদ্ধতিতে এসব ডিম থেকে রেণু তৈরি, এরপর পোনা উৎপাদন করেন সংশ্লিষ্টরা। তবে যে হারে ডিম পাওয়া যায় সে হারে রেণু হয় না। অনেক ডিমই তাপমাত্রা, আবহাওয়া, লবণাক্ততাসহ বৈরী পরিবেশে নষ্ট হয়ে যায়। দুপুর সাড়ে ১২টায় মাছুয়াঘোনা হ্যাচারিতে অবস্থানরত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রুহুল আমিন বাংলানিউজকে জানান, বৃহস্পতিবার (২১ মে) রাত ১২টার পর থেকে জোয়ারে হালদায় মা-মাছ নমুনা ডিম ছেড়েছে বলে জেলেরা জানিয়েছেন। শুক্রবার সকাল থেকে ডিম সংগ্রহ শুরু হয়। বিকেল চারটা পর্যন্ত ডিম পাবেন বলে জানিয়েছেন জেলেরা।