|| বাঘাইছড়ি প্রতিনিধি || রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে সরকারী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কাচালং নদীতে অবাদে ‘মা মাছ’ নিধন। কাচালং নদীর করেঙ্গাতলী অংশ থেকে শুরু করে আমতলী পর্যন্ত নিয়মিত ভাবেই দল বেধে মাছ শিকার করতে দেখাযায় স্থানীয় জেলে ও গ্রামবাসীদের, প্রশাসনের নজরদারী নেই বললেই চলে, সচেতন মহল এই বিষয়টি নিয়ে মৎস অধিদপ্তরের গাফিলতিকেই দায় করছেন।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক মোঃ আলী হোসেন বলেন নদীতে এখন পানি দেখা যায়না শুধু মানুষের মাথা দেখাযায়, মনে হয় মাছ ধরার মহা উৎসব চলছে।
অভিযোগ পেয়ে ১ জুন সোমবার দুপুরে সরেজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে দেখাযায় উপজেলা সদরে কাচালং ব্রীজ ঘাট থেকে পুরাতন মারিশ্য ঘাট পর্যন্ত ৩০ থেকে ৪০ জন জেলে ও গ্রামবাসী পানিতে ভেসে থাকার জন্য কোমরে প্লাস্টিকের জারি কেন বেধে দল দলে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল, জাকি জাল দিয়ে শত শত ডিমওয়ালা মা মাছ ধরছে। কেও আবার প্রকাশ্যেই বাজারে ও গ্রামে গ্রামে ঘুরে ১৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৩০০ টাকা কেজিতে ভিবিন্ন জাতের মাছ বিক্রি করছে। অথচ বছরের এই সময়টা সরকারী ভাবে মাছ ধরা সম্পূর্ন রুপে নিষিদ্ধ, এই সময়টাতে জেলেদের জন্য সরকারী ভাবে বিশেষ বরাদ্ধও রয়েছে। কিন্তু তার পরেও সরকারী নিষেধাজ্ঞার তুয়াঙ্কা না করে এভাবে দিনের আলোতে প্রকাশ্যে মাছ শিকার সচেতন মহলে নানা প্রশ্নজন্মদিচ্ছে।
বিষয়টি নিয়ে উপজেলা মৎস কর্মকর্তা নবআলো চাকমার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমরা পুলিশের সহায়তায় নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি গত দুই দিনে ১৪ টি জাল আটক করেছি , এখন সমস্যা হলো আমাদের জেলেরা পাহারা দেয় আমরা গেলে পালিয়ে যায় চলে আসলে আবার মাছ ধরে এখন নিজেরা যদি সচেতন না হয় তাহলে এভাবে অভিযান করে মাছ ধরা বন্ধ করা সম্ভব নয়।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানাযায় গত ২ দিনে শত শত কেজি ডিমওয়ালা মা মাছ ধরা পড়েছে জেলেদের জালে এসব মাছের মধ্যে ২০ থেকে ২৫ কেজি ওজনের কাতলা মাছ, ১৮ থেকে ২০ কেজি ওজনের রুই মাছ, ৫ থেকে ৭ কেজি ওজনের কালি বাউস মাছ ছাড়াও ১০ /১২ কেজি বোয়াল, লন্ডু, বাচা মাছ রয়েছে।
বাঘাইছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ গিয়াস উদ্দিন মামুন বলেন জেলেদের সরকার স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে চাওল দিচ্ছে তার পরও সরকারী নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে মা মাছ শিকার খুবই দুঃখ জনক, তাই অভিযান জোরদার করে এদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা উচিত।