॥ আলহাজ¦ এ,কে,এম মকছুদ আহমেদ ॥ বর্তমানে তো আছে অনেক পূর্ব থেকেই তিন পার্বত্য জেলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা অত্যন্ত করুন ছিল। তবে ইদানিং স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় কিছু উন্নতি হলেও তা অপর্যাপ্ত।
সারা বিশে^র মতো বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করছে। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা। তিন পার্বত্য জেলায় করোনা পরিস্থিতিতে অত্যন্ত নাজুক অবস্তা বিরাজ করছে। তিন পার্বত্য জেলা সদরের অবস্থিতি হাসপাতালে জরুরী চিকিৎসা সেবাসহ করোনা টেষ্টিং এ আইসিইউ স্থাপন করা গেলেও জনসাধাণকে চিকিৎসা সেবা দেয়া যাবে না। বর্তমানে যে অবস্থা চলছে তা বর্ণনা করা কঠিন।
বর্তমান অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য প্রত্যেক জেলা সদরের হাসপাতাল গুলোকে উন্ননত করতে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। সেটা সারা দেশের জন্য নির্দেশ এটা বাস্তবায়ন সময়ের ব্যাপার।
বর্তমানে কঠিন অবস্থা থেকে উত্তরনের জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের অধীনস্থ পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড এবং তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ গুলো শিক্ষা উপবৃত্তির বরাদ্দ থেকে তিন জেলা সদরের হাসপাতালের জন্য জরুরী ব্যবস্থা নেয়ার দাবী উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে প্রতিনিয়ত এই দাবীর প্রতি মানুষে সোচ্চার হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন মন্তব্য ছুড়ে দিচ্ছে। তারা বলছে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড ও রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের ব্যর্থতার কথা।
বর্তমান সময়ে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় তিন পার্বত্য জেলার স্বাস্থ্য খাতকে উন্নয়ন করে নিলেই হয়। শুধু সদ ইচ্ছা ও আন্তরিকতার প্রয়োজন। দ্রুত কাজ হয়ে গেলে করোনা পরিস্থিতিতে দেশের জনগন উপকৃত হবে। পরে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশিত তহবিলের টাকা আসলে তা থেকে সমন্বয় করে নিয়ে গেলেই হয়। তাছাড়া বর্তমানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো বন্ধ রয়েছে। কাউকে স্কুল কলেজ, বিশ^বিদ্যালয়ে যে হচ্ছে না। বেতন দিতে হচ্ছে না। তাই বাড়তি চাপও নেই।
এছাড়া তিন পার্বত্য জেলার সাধার শিক্ষার্থীদের মাঝে ও উন্নয়ন বোর্ড এবং তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের শিক্ষা উপবৃত্তি বিলি বন্টনে দীর্ঘদিন যাবত অনেকে অনিয়নের অভিযোগ রয়েছে। যেহেতু অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো বন্ধ রয়েছে সেহেতু আপাততঃ শিক্ষা উপবৃত্তি না দিলেও কোন সমস্যা নেই। দুর্নীতিটা কিছুটা বন্ধ থাকবে।
এছাড়াও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড এবং তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ সহ অনেক দপ্তরে অপ্রয়োজনীয় এবং কম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প রয়েছে ঐ গুলো আপাততঃ বন্ধ রাখলে তেমন সমস্যা হবে বলে মনে হয় না।
জেলা সদরের হাসপাতাল গুলোর উন্নয়ন জরুরী কাজেই যে কোন প্রকল্প থেকে টাকা নিয়ে কাজ করা গেলে পরে সমন্বয় করা যাবে।
তিন পার্বত্য জেলায় শুধুমাত্র পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমে ১০ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন কর্মকান্ড চলছে। এছাড়াও বিভিন্ন মন্ত্রনালয় ছাড়া থোক বরাদ্দেও হাজার হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন কর্মকান্ড চলছে। সেক্ষেত্রে স্বাস্থ্য খাতে জরুরী উন্নয়ন করা তেমন কষ্ট সাধ্য হবে বলে মনে হয় না। আগে জনগনকে বাঁচানো গেলে তো উন্নয়ন কাজে আসবে। জনগন যদি বেঁচেই না থাকে তাহলে উন্নয়ন কার জন্য করবেন।
কাজেই জরুরী ভিত্তিতে তিন পার্বত্য জেলা সদরের হাসপাতাল গুলোতে উন্নয়নের ব্যবস্থা নিন।